শেবাগ 'খবরদার, চুপ করো'

রানা নাভিদ-উল-হাসান ও বীরেন্দর শেবাগ। ছবি: টুইটার
রানা নাভিদ-উল-হাসান ও বীরেন্দর শেবাগ। ছবি: টুইটার
>বীরেন্দর শেবাগকে একহাত নিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার রানা নাভিদ-উল-হাসান

কথার লড়াই থেকে ধোঁয়া উঠতে শুরু করেছে। লড়াইটা আগে শুরু করেছিলেন বীরেন্দর শেবাগ। জবাব দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। এবার আর্বিভূত হলেন রানা নাভিদ-উল-হাসান। পাকিস্তানের সাবেক এ পেসার শেবাগকে বললেন, চুপ করো।

মূল ঘটনা বেশ আগের। ২০১৬ সালে পাকিস্তানি পেস কিংবদন্তি শোয়েব আখতারকে কথার শেল ছুড়েছিলেন শেবাগ। শোয়েব প্রায়ই প্রশংসা করেন ভারতীয় ক্রিকেট, দেশটির ক্রিকেটারদের। এ নিয়ে চার বছর আগে কমেডি শোতে শোয়েবকে একহাত নিয়েছিলেন শেবাগ। বলেছিলেন, ভারতে তাঁর ব্যবসা করতে হবে। এজন্যই প্রশংসা করে। শোয়েব ছাড়াও মোহাম্মদ ইউসুফ, সাকলায়েন মুশতাকদের একই কারণে ব্যঙ্গ করেছিলেন ভারতের সাবেক এ ওপেনার।

সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে একটি মন্তব্যও করেন শেবাগ, ‘মোহাম্মদ ইউসুফ, সাকলায়েন মুশতাক ও রানা নাভিদের মতো পাকিস্তানের সাবেক কিছু ক্রিকেটার ভারতের প্রশংসা করার জন্য মুখিয়ে থাকে। কারণ এতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে টাকা আসবে এবং তারা জানে প্রশংসা করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া সম্ভব।’

শোয়েবকে নিয়ে শেবাগের মন্তব্যের ভিডিও এত দিন পর ভাইরাল হয়। এতে শোয়েব চুপ থাকতে পারেননি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জবাব দেন, ‘তোমার মাথায় যত চুল, তার চেয়ে বেশি টাকা আছে আমার।’ শেবাগের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে এবার সরাসরি বাগযুদ্ধে যোগ দিলেন রানা নাভিদ। ময়দানও তাদের জাতীয় দল সতীর্থের মতো একই—ইউটিউব চ্যানেল!

পাকিস্তানের হয়ে ৯ টেস্ট, ৭৪ ওয়ানডে খেলা (২০০৪–২০১০) সাবেক এ পেসার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও পোষ্ট করেছেন। সেখানে শেবাগকে উদ্দেশ্য করে নাভিদ বলেন, ‘দুই বছর আগে বিরক্তিকর মন্তব্য করলেও আমরা কিছু বলিনি। কিন্তু এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোমাকে চুপ করাতে আমাদের মুখ খুলতেই হচ্ছে। খবরদার, আমাদের কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের নিয়ে তুমি যদি আর একটিও উল্টো-পাল্টা মন্তব্য করো। আমরা সিনিয়র খেলোয়াড়দের সম্মান করি। আমাদের কিংবদন্তিদের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ফালতু কথা বন্ধ করো। টেলিভিশন চ্যানেলে নিজের চেহারা দেখানো জন্য দুই-তিন মাস পর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই।’

৪১ বছর বয়সী সাবেক এ পেসার আরও বলেন, ‘দুবাইয়ে এমসিএল টুর্নামেন্টে শেবাগের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। অধিনায়ক হিসেবে এ জন্য তোমার প্রশংসা করেছি। কিন্তু তুমি এর অনৈতিক সুযোগ নিয়েছ। ভারতীয় টিভি চ্যানেলে বসার জন্য নয় তোমার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছিলাম। তুমি আরও বলেছ, ভারতের প্রশংসা করি সেখানকার টিভি চ্যানেলে সুযোগ পেতে। কিন্তু এখন কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। কারণ তোমরা সম্মান হজম করতে পারো না।’

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা এখন মজেছেন ইউটিউবে। বেশির ভাগ সাবেক তারকা ক্রিকেটারেরই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে। সেখানে তারা নানা মন্তব্যের পাশাপাশি খেলা নিয়ে বিশ্লেষণ করে থাকেন। শোয়েব আখতার, ইনজামাম-উল-হক, রশিদ লতিফ থেকে নাভিদ-উল-হাসানও এখন ইউটিউবার।