কীভাবে জিততে হয় 'বড়দের' শেখাল নিউজিল্যান্ডের যুবারা

নবম উইকেটে ৮৬ রোন যোগ করে নিউজিল্যান্ডকে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিতে তুলেছেন জোয়ি ফিল্ড ও ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। ছবি: আইসিসির সৌজন্যে
নবম উইকেটে ৮৬ রোন যোগ করে নিউজিল্যান্ডকে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিতে তুলেছেন জোয়ি ফিল্ড ও ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। ছবি: আইসিসির সৌজন্যে

নিউজিল্যান্ডের বড়রা কাল ভারতের বিপক্ষে ৪ বলে ২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। হ্যামিল্টনে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা টাই করার পর সুপার ওভারে হেরেছে দলটি। সেদিনই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের নিউজিল্যান্ডের ছোটরা দেখালেন কীভাবে কঠিন ম্যাচ জিততে হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবারা ২৪০ রানের লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ডকে। রান তাড়ায় ১৫৩ রানেই অষ্টম উইকেট খোয়ায় দলটি। সেখান থেকেই প্রত্যাবর্তনের অসাধারণ গল্প লিখে ২ উইকেটে জিতে গেল নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯। উঠে গেল সেমিফাইনালে। শেষ চারে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ী দলের বিপক্ষে খেলবে নিউজিল্যান্ড।

অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেট জুটিতে ৮৬ রান যোগ করেছেন দলটির নয় নম্বর ব্যাটসম্যান জোয়ি ফিল্ড ও ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। ৫৮ বলে ৩৮ রান করেছেন ফিল্ড, ক্লার্কের ৪৬ রান এসেছে ৪৬ বলে। শেষ ওভারে ৭ রান দরকার ছিল, চার বলেই প্রয়োজনটা মিটিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ৯৯ রানে আউট হন কার্ক ম্যাকেঞ্জি।

কিউই যুবারা ২০০৪ চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ফাইনালের স্মৃতিও যেন ফিরিয়ে আনল। লডর্সে ইংল্যান্ডের দেওয়া ২১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৪৭ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকেই নবম উইকেটে ৭১ রানে জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিতিয়ে দেয় কোর্টনি ব্রাউন ও ইয়ান ব্র্যাডশ।