এখন ফিটনেসও নেই নাসিরের

এখন ফিটনেস পরীক্ষাতেও পাস করেন না নাসির। ছবি: প্রথম আলো
এখন ফিটনেস পরীক্ষাতেও পাস করেন না নাসির। ছবি: প্রথম আলো
>একসময়ের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার নাসির এখন বিপ টেস্টে পাস করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ফিটনেসে পাস না করার কারণে বিসিএলের প্রথম রাউন্ড খেলতে পারবেন না তিনি

বিপ টেস্টে পাশ করতেই হবে, এটাই ছিল বিসিএল ড্রাফটে নাম লেখানোর প্রথম শর্ত। ঘরোয়া ক্রিকেটের বেশ কয়েকজন নিয়মিত পারফর্মার ড্রাফট তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন এই বিপ টেস্ট উতরাতে না পেরে। কয়েকজনকে ছাড় দেওয়া হয়েছে গত জাতীয় লিগের দারুণ পারফরম্যান্স দেখে। নাসির হোসেন তাদের একজন।

অথচ একটা সময় ছিল যখন এই নাসিরই ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটারদের একজন। ছিলেন দুর্দান্ত ফিল্ডার, এক-দুই রান নেওয়ার সহজাত দক্ষতা ছিল তাঁর। সেই নাসির এখন বিপ টেস্ট উতরাতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন।

ছাড় পেয়ে ড্রাফটের মাধ্যমে তিনি সুযোগ পেয়েছেন ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল দলে। কিন্তু খেলার সুযোগ পেতে তাঁকে বিপ টেস্টে ‘১১’ তুলতেই হতো। এটা হচ্ছে ফিটনেসের এ পরীক্ষায় পাস নম্বর। কিন্তু নাসির পেয়েছিলেন ১০। সে কারণে দল পেলেও বিসিএলের প্রথম রাউন্ড খেলার ছাড়পত্র পাচ্ছেন না তিনি। বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খেলতে হলে নাসিরকে বিপ টেস্টে ওই ১১ নম্বর পেতেই হবে।
গত জাতীয় লিগ নাসির খেলেছিলেন বিশেষ বিবেচনায়। তখনো তিনি বিপ টেস্টে পাস করতে পারেননি। বিসিএলে সেই ‘বিশেষ বিবেচনা’র সুযোগটা নেই। নাসির এখন খুব করেই চেষ্টা করে যাবেন বিসিএলের দ্বিতীয় পর্বটা যেন তিনি খেলতে পারেন।