অসাধারণ এক দৃশ্য দেখল ক্রিকেট

>অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে কাল খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার অসাধারণ নজির দেখালেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা
ম্যাকেঞ্জিকে মাঠ ছাড়তে এভাবেই সাহায্য করেন কিউই ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ টুইটার পেজ
ম্যাকেঞ্জিকে মাঠ ছাড়তে এভাবেই সাহায্য করেন কিউই ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ টুইটার পেজ

ক্রিকেটে ‘স্পোর্টসম্যানশিপ’ শব্দটা নতুন না। নানা সময়ে এর উদাহরণ রেখেছেন ক্রিকেটাররা। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট যেমন আউট হলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতেন না। কিংবা ২০০৫ অ্যাশেজে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ের পর ব্রেট লির পাশে বসে যেভাবে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ; কোর্টনি ওয়ালশ ১৯৮৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে নন স্ট্রাইকিং ব্যাটসম্যান সেলিম জাফরকে রান আউট করার সুযোগ পেয়েও করেননি, তাতে ম্যাচটা হেরে গেলেও ওয়ালশের সেই খেলোয়াড়ি মানসিকতা এখনো ক্রিকেট-কিংবদন্তির অংশ। পাকিস্তানের সেই জয় অনেকেই ভুলে গেছে। কিন্তু ওয়ালশ কিন্তু ঠিকই চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে কাল এমন কিছুরই দেখা মিলল।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। অসাধারণ দৃশ্যটার জন্ম হয়েছে এ ম্যাচেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ব্যক্তিগত ৯৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন কির্ক ম্যাকেঞ্জি। ৪৩তম ওভারে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দুরে থাকতে পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ে তাঁর। ছেড়ে যান মাঠ। এর ৫ ওভার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ নবম উইকেট হারালে মাঠে ফেরেন ম্যাকেঞ্জি। কিন্তু আউট হন প্রথম বলেই। হাঁটা দূরের ব্যাপার, ম্যাকেঞ্জি তখন ঠিকমতো দাঁড়াতেই পারছিলেন না। এ অবস্থায় হেঁটে মাঠ ছাড়া তার জন্য ছিল প্রায় অসম্ভব।

সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের দুই যুবা ক্রিকেটার। জেসে তাশকফ ও জোসেফ ফিল্ড। দুজনে মিলে ম্যাকেঞ্জিকে দুই হাতে বহন করে নিয়ে যান মাঠের বাইরে। এ সময় দুই দলের ড্রেসিং রুম থেকে শুরু করে গ্যালারির দর্শকেরা করতালিতে সিক্ত করেন ক্রিকেটারদের। উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি। তাদের টুইট, ‘খেলোয়াড়ি মানসিকতার অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ধন্যবাদ।’ নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের ক্রিকেটার জিমি নিশামও টুইটে প্রশংসা করেছেন কিউই যুবাদের, ‘অসাধারণ দেখিয়েছ ছেলেরা!’