ব্রাজিলিয়ানেই আস্থা খুঁজে নিচ্ছে আবাহনী

আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মাইলসন আলভেস। ছবি: তাঁর ফেসবুক থেকে নেওয়া
আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মাইলসন আলভেস। ছবি: তাঁর ফেসবুক থেকে নেওয়া
>নতুন মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মাইলসন আলভেসকে দলে ভিড়িয়েছে আবাহনী লিমিটেড।

আফগান মাশিহ সাইগানিকে গত মৌসুমে ঢাকার ফুটবলে এনেছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু দল বদলের শেষের দিকে সাইগানিকে ছেড়ে দেয় তারা। আবাহনীও তখন হন্যে হয়ে বিদেশি খেলোয়াড় খুঁজছে। মাশিহ হয়ে গেলেন আবাহনীর। বসুন্ধরার বাতিল খেলোয়াড়ই শেষ পর্যন্ত আবাহনীর জন্য হয়ে উঠেছিলেন আশীর্বাদ। আবাহনীকে জিতিয়েছেন ফেডারেশন কাপের শিরোপাও।

সাইগানির ভালো খেলাটাই ‘কাল’ হয়ে যায় আবাহনীর জন্য। তাঁকে দলে ভেড়ায় ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্লাব চেন্নাইয়িন এফসি। তাঁর বদলে ভারতের এই ক্লাবটি থেকেই আবাহনী নিয়েছে তাদের হয়ে অনিয়মিত খেলা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মাইলসন আলভেসকে। সেই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে নিয়েই নতুন বছরের এএফসি কাপ প্লে-অফের নতুন ছক আঁকছেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস।

লিগ চ্যাম্পিয়ন না হতে পারায় এবার আবাহনীকে এএফসি কাপ শুরু করতে হবে টুর্নামেন্টের প্লে অফ পর্ব থেকে। প্লে অফ খেলার সুযোগ এসেছে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়। ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে শুরু হবে প্রথম পরীক্ষা। ফিরতি পর্বের ম্যাচটি মালেতে ১২ ফেব্রুয়ারি। দুই পর্বের ম্যাচের জয়ী দলকে অপেক্ষা করতে হবে আরেক প্লে-অফে খেলা ভারতের বেঙ্গালুরু এএফসি ও ভুটানের পারো এফসির মধ্যকার জয়ী দলটির জন্য। অর্থাৎ আবাহনী, মাজিয়া, বেঙ্গালুরু ও পারোর মধ্যকার একটি দল পাবে এএফসি কাপের টিকিট। লিগ চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চল গ্রুপ ‘ই’ তে চলে গেছে বসুন্ধরা কিংস। অন্য দুইটি দল ভারতের আই লিগের দল চেন্নাই সিটি ও মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস।

যে আবাহনী এএফসি প্রেসিডেন্টস ও এএফসি কাপে সাতবার খেলে গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি, লেমোসের হাত ধরে তারা গতবার এএফসি কাপের আন্ত-আঞ্চলিক ফাইনালের দাঁড় প্রান্তে চলে গিয়েছিল। এবারও গ্রুপ পর্ব পেরোনোর প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন লেমোস। তবে এর আগে পার হতে প্লে-অফ পর্ব। সেখানে ব্রাজিলিয়ান মাইলসনই লেমোসের রক্ষণভাগের মূল খুঁটি। অন্তত রক্ষণ সামলানোর গুনে সাইগানির চেয়ে মাইলসনকে এগিয়ে রাখছেন লেমোস, ‘শেষ এএফসি কাপে আমরা অনেক গোল হজম করেছি। এবার মাইলসন আসাতে আমাদের রক্ষণভাগের শক্তি বেড়েছে। সে শারীরিকভাবে খুবই শক্তিশালী। তার রক্ষণ সামলানোর কৌশল নিয়ে আমরা আশাবাদী।’

২০১০ বিশ্বকাপ খেলা উত্তর কোরিয়ার ১৮ বার চ্যাম্পিয়ন এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের মতো দাপুটে ক্লাবকেও সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে (৪-৩) হারিয়ে দিয়েছে লেমোসের আবাহনী। কিন্তু ফিরতি পর্বে ২-০ গোলে হেরে থেমে যায় আবাহনী স্বপ্ন যাত্রা।