ওয়ানডে মেজাজে ডাবল তামিমের

আজ দারুণ এক ইনিংস খেলে সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন তামিম। ছবি: শামসুল হক
আজ দারুণ এক ইনিংস খেলে সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন তামিম। ছবি: শামসুল হক
>পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তামিম ইকবাল ছিলেন অচেনা। বিসিএল দিয়ে চেনা রূপে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন তিনি।

নার্ভাস নাইনটি পেয়ে বসেছিল পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক মুমিনুল হককে। অন্যপ্রান্তে তামিম ইকবাল ছিলেন দারুণ ছন্দে। তিনি এগোচ্ছিলেন ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছে। শুভাগত হোমের এক ওভারে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে কাভারে দুটি চার মেরে আরও কাছে পৌঁছে যান তিনি।

৭৯তম ওভারের কথা। মধ্যাঞ্চলের শুভাগতকেই অন ড্রাইভে চার মেরে তামিম পৌঁছে যান ডাবল সেঞ্চুরিতে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর দ্বিতীয় ডাবল। একই ওভারে মুমিনুলের লেট কাট, দৌড়ে ১ রান নিয়েই মুমিনুল পৌঁছে যান ২১তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরিতে। এ দুই বাঁহাতির জুটি তখন ২৭৭ রানে। দুজনের কেউই সহজে হাল ছাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন না। শেষ  পর্যন্ত ১১১ রানে আউট হন মুমিনুল। ২২২ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেন তামিম। পুর্বাঞ্চলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯৫।

ইনিংসের শুরু থেকেই একদিকে আগ্রাসী ব্যাটিং করে গেছেন তামিম। অপরাজিত ২০৬ রানে ব্যাট করা পর্যন্ত তাঁর স্ট্রাইকরেট ৮২.০৭। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে শুভাগত হোমের অফ স্পিনে কিছুটা মন্থর ব্যাটিং করলেও স্ট্রাইক রেট কমেনি তামিমের। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ১২৬ বলে ১৭ চারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। সেঞ্চুরি করে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখাননি এ বাঁহাতি ওপেনার। সতীর্থদের উদ্দেশ্যে ব্যাট তুলে সঙ্গী মুমিনুল হকের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। সেঞ্চুরির পর কিছুটা মন্থর ব্যাট করেছেন তিনি। পরের ১০০ রান তুলতে লেগেছে ১১৬ বল।

আরেকদিকে মুমিনুল খেলছেন রয়েসয়ে। মধ্যাঞ্চলের বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়েই খেলছেন দুজন। চা পান বিরতির আগে সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে তামিম পৌঁছে যান দেড় শ রানে। সেঞ্চুরির পর কিছুটা দেখেশুনে খেললেও চা পান বিরতির আগে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারিতে দেড় শ ছাড়িয়ে যান। দিনের শেষ সেশনে এসে তামিম ২০০ ও মুমিনুল ১০০ স্পর্শ করেন। তামিম এ পর্যন্ত খেলেছেন ২৮১ বল। মুমিনুল ১৯৪ বল খেলেন।