আফগানিস্তান-পাকিস্তান ম্যাচের পর মানকাড নিষিদ্ধের দাবি

এই আউট আবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ছবি: আইসিসি টুইটার
এই আউট আবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ছবি: আইসিসি টুইটার

প্রতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই এমন কিছু ঘটছে। ক্রিকেটারদের শেখার জন্য যে টুর্নামেন্টের আয়োজন সেটা জেতার জন্য ক্রিকেটীয় চেতনার বাইরে কিছু করছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। ২০১৬ যুব বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা মানকাড আউট করেছিলেন। ২০১৮ সালে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যান বল এগিয়ে দেওয়ার ভদ্রতা দেখালে আউটের আবেদন করে সেটা আদায় করে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররাই। এবারও এমন কিছু দেখা গেল। গতকাল পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানকে আউট করার জন্য উপায় না পেয়ে মানকাড করেছেন আফগানিস্তানের বোলার নুর আহমেদ।

আইনত বল করার আগে ব্যাটসম্যান বোলিং প্রান্ত ছেড়ে বেরিয়ে গেলে তাঁকে আউট করায় বাঁধা নেই। গতকাল সে সুযোগটাই নিয়েছেন আফগানিস্তানের চায়নাম্যান বোলার নুর আহমদ। বেনোনিতে আগে ব্যাট করে ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের যুবাদের মুঠোয় ম্যাচ এনে দেন ওপেনার হুরাইরা। হুরাইরা ব্যাট করছিলেন ৭৬ বলে ৬৪ রানে। জয়ের জন্য ১৩৪ বলে পাকিস্তানের দরকার ৬৩ রান, হাতে ৭ উইকেট। ম্যাচের এ পরিস্থিতিতে নুর বল করতে লাফ দেবেন এমন সময় ক্রিজের বাইরে চলে গিয়েছিলেন হুরাইরা। ১৫ বছর বয়সী নুর খেয়াল করেই ভেঙে দেন স্টাম্প। রান আউট হুরাইরা।

এতে পাকিস্তানের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। অনায়াসেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে। কিন্তু আবারও বিতর্ক উঠেছে এ আউটের নিয়ম নিয়ে। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়া পেসার জেমস অ্যান্ডারসন এ নিয়ে তাঁর বিরক্তি টুইটারে জানিয়েছে, ‘দক্ষতা দিয়ে ব্যাটসম্যানকে আউট করার বহু উপায় আছে। সেটা বোলার বা ফিল্ডার হিসেবেই। আমার মনে হয় না এমন কারও সঙ্গে কখনো খেলেছি যে মনে করে এভাবে আউট করা সঠিক।’

আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ফারহান জাখিলও বলেছেন তাঁরা এ নিয়ে দ্বিধান্বিত, ‘ওই সময় আমাদের মনে হয়েছিল পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে ভিন্ন কিছু করতে হবে। কিন্তু সত্য হলো, এটা খেলার চেতনার সঙ্গে যায় না। কিন্তু আমরা জিততে চেয়েছিলাম। আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলা ছিল। আফগানিস্তানের মানুষ চাইছিল আমরা যেন পাকিস্তানকে হারাই। কিন্তু এটা তো নিয়মের মাঝেই আছে আর আউট তো আউটই। আপনাকে উইকেটে থাকতে হবে। যদি আমরা জেতার পথে থাকতাম, তাহলে হয়তো এটা করতাম না।’