অভিমানে কোচকে পাত্তাই দিলেন না এমবাপ্পে

এভাবেই কোচকে বারবার পাত্তা দিচ্ছিলেন না এমবাপ্পে। ছবি : এএফপি
এভাবেই কোচকে বারবার পাত্তা দিচ্ছিলেন না এমবাপ্পে। ছবি : এএফপি
>

মঁপেলিয়েরকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ফরাসি লিগে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও সংহত করেছে পিএসজি। তবে জয় ছাড়িয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে দলটার ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের একটা ঘটনা নিয়ে

ম্যাচের বয়স তখন ৬৮ মিনিট। পিএসজি এর মধ্যেই ৫-০ গোলে এগিয়ে আছে। যারা ফুটবল বোঝেন না তারাও বলতে পারবেন সহজ জয়ের পথেই এগোচ্ছে দলটি।

এ পর্যায়ে দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বদল করে বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বাজিয়ে দেখা নতুন কিছু নয়। সব কোচই করে থাকেন। কিন্তু গত রাতে এই কাজটা করতে গিয়েই বিরাট ঝামেলায় পড়ে গেছেন পিএসজির কোচ টমাস টুখেল!

৬৮ মিনিটে ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের জায়গায় মাঠে নামালেন এই মৌসুমেই ইন্টার মিলান থেকে পিএসজিতে ধারে আসা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দিকে। কোচের সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি এমবাপ্পের। ব্যস, রেগে গেলেন! মাঠের বাইরে আসার পর আচরণেই তা বুঝিয়ে দেন।

টুখেল এবং কোচিং স্টাফের আরেকজনের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার স্বাভাবিক ছিল না। মাঠ থেকে উঠে আসার সময় নিজের রাগ লুকানোর বিন্দুমাত্রও চেষ্টা করলেন না। সেটা বুঝলেন টুখেল। প্রিয় শিষ্যকে নিজের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা বোঝানোর জন্য মাঠের সাইডলাইনেই কয়েকটা কথা বলতে গেলেন। কিন্তু কীসের কী! এমবাপ্পের মাথায় তখন ভরা চৈত্রের গরম। বারবার কোচকে অগ্রাহ্য করে সরে যেতে চাইলেন, দুই-একবার ধাক্কাও দিলেন। কোচ কী বলছেন তাতে মনোযোগই দিলেন না। তাও আবার সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে। গায়ে দেওয়ার জন্য শিষ্যকে একটা জ্যাকেটও দিতে চাইলেন টুখেল। পাত্তাই দিলেন না এমবাপ্পে। এমবাপ্পের রাগ ও টুখেলের বারবার রাগ ভাঙানোর এই ব্যর্থ প্রচেষ্টা ততক্ষণে ক্যামেরাবন্দী হয়ে গেছে মাঠে আসা সকল ফটোসাংবাদিকদের। তা নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে এমবাপ্পের!

ম্যাচ শেষে এ নিয়ে কথা বলতে হয়েছে টুখেলকে, দেখুন, ব্যাপারটা ভালো হয়নি। তবে শুধু আমরাই নই, দুনিয়ার অন্যান্য ক্লাবেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।

এমবাপ্পের আচরণে টুখেল যে কষ্ট পেয়েছেন, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘পিএসজি বারবার সবাইকে দেখিয়ে দেয়, যে তারা কতটা পেশাদার। কিন্তু মাঠে এমন ঘটনা ঘটলে সেটা আসলেই দুঃখজনক। আপনার সবাইকে সম্মান করতে হবে। আমি এমবাপ্পেকে বোঝাতে চেয়েছিলাম যে কেন ওকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিয়েছি। আমার সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ খেলাকেন্দ্রিক ছিল। এটা ফুটবল, টেনিস না।’