বাংলাদেশ সিরিজের পাকিস্তান দল নিয়ে প্রশ্ন সাবেক ক্রিকেটারের

রশিদ লতিফ। ছবি: এএফপি
রশিদ লতিফ। ছবি: এএফপি
>বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট দল বাছাইয়ের সমালোচনা করেছেন রশিদ লতিফ

ইউটিউবে মজেছেন পাকিস্তানের সাবেকরা। ইনজামাম-উল-হক, শোয়েব আখতার, রশিদ লতিফ এমনকি রানা নাভিদও এখন ইউটিউবার। ক্রিকেট নিয়ে নিজের চ্যানেলে নানা বিশ্লেষণ করেন তারা। সামনে পাকিস্তান-বাংলাদেশ টেস্ট থাকায় এ ম্যাচ নিয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের সাবেকরা। রশিদ লতিফ তো টেস্ট দল নির্বাচন নিয়ে এক প্রকার ধুয়েই দিলেন প্রধান নির্বাচক মিসবাহ-উল-হককে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট দল নিয়ে ইউটিউবে বিশ্লেষণ করেছেন সাবেক এ অধিনায়ক। তাঁর মতে বাঁহাতি স্পিনার কাশিফ ভাট্টির বদলে ওপেনার ইমাম-উল-হককে বাদ দেওয়া উচিত ছিল মিসবাহর। ৫১ বছর বয়সী সাবেক এ উইকেটরক্ষক আরও দাবি করেন, অলরাউন্ডার বিলাল আসিফকে একাদশে খেলানোর ইচ্ছা থাকলে বাদ দেওয়া যেত লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকেও।

ইউটিউবে রশিদ বলেন, ‘(দলে জায়গা) বদল করার সময় ভাবতে হয় তারা একাদশে খেলার সুযোগ পাবে কি না। সবুজ উইকেট বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে, তখন ফাস্ট বোলারদের ব্যবহার করতে হবে। তাই ম্যাচে বিলালকে খেলানোর ইচ্ছা থাকলে ইয়াসির শাহকে বাদ দেওয়া যেত। বিলালের অ্যাকশন নিয়ে একটু সমস্যা থাকলেও ঠিক করে নিয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই। কাশিফকে দলে রেখে বিলালের জন্য ইমামকে বাদ দেওয়া উচিত ছিল।’

মিসবাহর নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচক দল খেলোয়াড় বাছাইয়ে পুরোনো পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বলে মনে করেন রশিদ। আগে টেলিভিশনে দেখানো ম্যাচে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিবেচনা করে দল বাছাই করা হতো, জানিয়েছেন রশিদ। সে প্রসঙ্গ তুলে রশিদ বলেন, ‘নোমানকে দলে নেওয়ার কথা উঠলে বলা হলো সে মাত্র এক বছর পারফর্ম করেছে। কাশিফ তিন বছর ধরে পারফর্ম করছে। কিন্তু বিলাল আসিফ মাত্র একটি ফাইনালে পারফর্ম করেছে। ফাহিম আশরাফকেও ফাইনালের পারফরম্যান্স দেখে দলে নেওয়া হয়েছে। এসব দেখে পুরোনো দিনগুলো মনে পড়ে, যখন ঘরোয়া টুর্নামেন্টে শুধু ফাইনাল টিভিতে দেখানো হতো এবং সে ম্যাচে ভালো করলে পাকিস্তান দলে নেওয়া হতো।’

রশিদ সরাসরিই বলেছেন, প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহর টিম ম্যানেজমেন্ট ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ধুলা দিচ্ছে। ‘ফাহিম ও বিলালের প্রতি সমর্থন আছে। কিন্তু আমি প্রমাণ করার চেষ্টা করছি, এর আগে তারা (মিসবাহর টিম ম্যানেজমেন্ট) সত্য বলেনি। ব্যাপারটা এমন যে তারা সবার চোখে ধুলো দিচ্ছে। এমন হলে ভবিষ্যতে তাদের কেউ আর বিশ্বাস করবে না।’