সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের জন্য প্রস্তুত হলেন লিটন

প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ভুলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন। প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ভুলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন। প্রথম আলো ফাইল ছবি

তামিম ইকবালের ৩৩৪ রানের ইনিংসকে ব্যর্থ হতে দেয়নি তাঁর দল। ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ইনিংস ও ৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে। মিরপুরের ম্যাচে ইতিবাচক ফল এলেও চট্টগ্রামে ড্র মেনে নিতে হয়েছে বিসিবির দুই দলকে। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচটিতে শেষ দিনের উইকেটেও রাজত্ব করতে পারেননি আবদুর রাজ্জাক ও তাঁর সঙ্গের স্পিনাররা; বরং দারুণ এক ইনিংসে পাকিস্তান সফরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছেন লিটন দাস।

উত্তরাঞ্চলের লক্ষ্য ছিল ৪৫৪ রান। গতকাল বিনা উইকেটে ২২ রান করলেও শেষ দিনের উইকেটে ৪৩২ রান তোলা প্রায় অসম্ভব। লিটনরা সে চেষ্টাতে যাননি। দুই ওপেনার ৭২ রানের মধ্যে ফেরার পর জুনায়েদ সিদ্দিককে নিয়ে শফিউল, আল-আমিন হোসেন ও আবদুর রাজ্জাকদের নিয়ে গড়া বোলিংকে হতাশ করেছেন লিটন। ১২৫ রানের জুটি গড়ে জুনায়েদ (৬১) ফিরে গেলেও হাল ছাড়েননি তিনি। নাঈম ইসলামকে নিয়ে গড়েছেন আরেকটি বড় জুটি। ৭৯ রানের জুটি গড়ে অবশ্য নাঈমও বিদায় নেন শেষ বিকেলে। অবশ্য অধিনায়কের বিদায়ের আগেই ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১৬৫ বলে সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন লিটন। উত্তরাঞ্চল ৪ উইকেটে ২৭৮ তোলার পর ম্যাচ ড্র মেনে নিয়েছে দুই দল। ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন।

প্রথম ইনিংসে ওপেনিংয়ে নেমে শূন্য পাওয়া লিটনকে পাকিস্তানের বিপক্ষে লেট মিডল অর্ডারে নামাতে চান জাতীয় দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। আজ চারে নেমে লিটনের পাওয়া সেঞ্চুরি ডমিঙ্গোর আস্থা বাড়িয়ে দেবে নির্ঘাত। লিটনের সঙ্গে বিসিএলে দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের ফর্মও আশা দেখাবে কোচকে। ঢাকায় তামিমের পর চতুর্থ দিনে মিঠুন ও নাঈম আজ আলো ছড়িয়েছেন।

৩৪২ রানে পিছিয়ে থাকা মধ্যাঞ্চল আজ দিন শুরু করেছিল ১১৫ রানে। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে দিন পার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু নাঈম হাসান সেটা হতে দিলে তো। ৮৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই অফ স্পিনার। প্রথম দুই স্পেলে মাত্র ৩ উইকেট হারানো মধ্যাঞ্চলকে চা-বিরতির শেষ করে দিয়েছেন নাঈম। ৩৮ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে মধ্যাঞ্চল। এর মাঝে ৪ উইকেটই নাঈমের। আর শুভাগত হোমকে আউট করেছেন তাইজুল ইসলাম।

নাইমের ম্যাচ জেতানো স্পেলের আগে মোহাম্মদ মিঠুন ও তাইবুর রহমান মিলে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলেন। ১১৩ রানের জুটি গড়ার পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তাইবুর। চা বিরতির আগে নাইমের শিকার হয়েছেন মিঠুন (৮৩)। ২৯৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো মধ্যাঞ্চল বিরতির পর আর ৩৮ রানই শুধু যোগ করতে পেরেছে।