ড্রেসিংরুমে 'যুদ্ধ' চলছে বার্সেলোনায়

অনুশীলনে বার্সেলোনার শীর্ষ কোন দুই খেলোয়াড়ের মাঝে ঝগড়া হয়েছিল? ছবি: রয়টার্স
অনুশীলনে বার্সেলোনার শীর্ষ কোন দুই খেলোয়াড়ের মাঝে ঝগড়া হয়েছিল? ছবি: রয়টার্স

কিকে সেতিয়েনের যুগে বার্সেলোনা সমর্থকদের মুখে আবারও হাসি ফিরে এসেছে। লা লিগায় গত সপ্তাহে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারের ধাক্কা সামলে কোপা দেল রে-র শেষ ষোলোতে লেগানেসের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতেছে বার্সা, গতকাল লিগেও ২-১ গোলে জিতেছে লেভান্তের বিপক্ষে। ম্যাচের ফলের চেয়েও লিওনেল মেসির সঙ্গে কিশোর আনসু ফাতির রসায়নটা বেশি আনন্দ দিয়েছে কাতালান ক্লাবের সমর্থকদের। ধীরে ধীরে ভালভার্দের সময়কার গুমোট ভাব কাটিয়ে ওঠার আশা দেখছে দলটি।

এমন খুশি খুশি আমেজের মাঝেই বিবাদের সুর শোনাল এএস। স্প্যানিশ এই পত্রিকা দাবি করেছে, বার্সেলোনার অনুশীলনে গত মঙ্গলবার দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এরপর থেকেই ক্লাবের ড্রেসিংরুমে স্বাভাবিকভাবে কিছু চলছে না। এএসের প্রতিবেদক হাভিয়ের মিগেল ও হুয়ান হিমেনেজ নিজেদের প্রতিবেদনে করেছেন এ দাবি।

লিগের শীর্ষে থাকা অবস্থাতেও কোচ আরনেস্তো ভালভার্দেকে বিদায় করে দিয়েছে বার্সেলোনা। তাঁর বদলি খুঁজতে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছে ক্লাব। একের পর এক কোচকে প্রস্তাব দিয়েও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। পরে ক্রুইফের ফুটবলের পূজারি সেতিয়েনকে ডেকে এনেছে। সেতিয়েন দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাঝেই শীর্ষস্থান হারিয়েছে বার্সেলোনা। এ অবস্থায় বাইরের সবার কাছে দলের অবস্থা ভালো বোঝাতে চাইছে বার্সেলোনা বোর্ড। কিন্তু ভ্যালেন্সিয়ার কাছে গত সপ্তাহের হারের পর নাকি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

গতকাল লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচের আগে একটি পরিচিত দৃশ্য দেখা যায়নি। সাধারণত বার্সেলোনার ম্যাচের আগে নাম ঘোষণার সময় সব খেলোয়াড় গোল হয়ে দাঁড়ান। দলের দুই নেতা হিসেবে মেসি ও পিকে শেষবারের মতো সাহস দেন, উৎসাহ জোগান। কিন্তু কাল তা দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে কোচ সেতিয়েনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। সেতিয়েনের দাবি, এ ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণা নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শুধু এ ম্যাচ নয়, কোপা দেল রে-তে লেগানেসের বিপক্ষেও গোল হয়ে দাঁড়াননি মেসিরা।

খুবই ক্ষুদ্র একটি বিষয় এটি। কিন্তু হিমেনেজ ও মিগেলের দাবি, গত মঙ্গলবার সকালের অনুশীলনে লেগে গিয়েছিল দুই শীর্ষ ফুটবলারের। কোন দুজন, তাঁদের নাম জানানো হয়নি প্রতিবেদনে। তবে প্রতিবেদনে লেখা, অনুশীলন শেষে দুজন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। পরে সবাই মিলে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। তখনো ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই দেখা হয়েছিল। দুজন সতীর্থের মধ্যে হালকা মন-কষাকষি মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু পর পর দুই ম্যাচে নিজেদের ঐতিহ্য থেকে সরে যাওয়ার ঘটনা বলছে, বিষয়টা বেশ গুরুত্ব পেয়েছে।