পুরো সুস্থ নন, তবু ১৩৯ মিনিটে সাত গোল!

ঈর্ষণীয় ফর্মে আছেন হরলান্ড। ছবি : এএফপি
ঈর্ষণীয় ফর্মে আছেন হরলান্ড। ছবি : এএফপি
>

তর্কাতীতভাবে এই মৌসুমের সেরা তরুণ খেলোয়াড় তিনি। রেড বুল সালজবুর্গের হয়ে মুড়ি-মুড়কির মতো গোল করে এই জানুয়ারিতেই যোগ দিয়েছেন ডর্টমুন্ডে। ডর্টমুন্ডে গিয়েও আর্লিং ব্রট হরলান্ডের গোল করার হার কমেনি, বরং বেড়েছে। তিন ম্যাচে মোট ১৩৯ মিনিট খেলেই গোল করেছেন সাতটা। এত কম সময়ে সাত গোল করার পরেও ঘোষণা দিয়েছেন, শতভাগ সুস্থ নন!

মৌসুমটা স্বপ্নের মতো কাটছে আর্লিং ব্রট হরলান্ডের।

এবারই প্রথম খেলতে এসেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, এসেই করেছেন বাজিমাত। রেড বুল সালজবুর্গের হয়ে গ্রুপপর্বের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই করেছেন আট গোল। দুর্দান্ত ফর্ম দেখে প্রলুব্ধ হয়েছিল একটি বা দুটি নয়, ইউরোপের চল্লিশটি ক্লাব। শেষমেশ হরলান্ড যোগ দিয়েছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে। এসে যেভাবে গোল করার ধারা বজায় রেখেছেন, মনে হতেই পারে, ক্লাব বদলই করেননি হরলান্ড!

প্রথম দুই ম্যাচে মূল একাদশে ছিলেন না, তাতে কী? প্রথম ম্যাচে ৫৬ মিনিটে নেমে করেছিলেন হ্যাটট্রিক, দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৫ মিনিটে নেমে করেছেন জোড়া গোল। যে স্ট্রাইকারের এমন আগুনে ফর্ম, তাঁকে আর তৃতীয় ম্যাচে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার ‘দুঃসাহস’ দেখাননি কোচ লুসিয়েন ফাভরে। কোচের আস্থার প্রতিদানও দুর্দান্তভাবে দিয়েছেন হরলান্ড। ম্যাচের আঠারো মিনিটেই জুলিয়ান ব্র্যান্টের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন এই উনিশ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। দ্বিতীয় গোলটি করেন ৭৬ মিনিটে, এবারও সহায়তা আসে ব্র্যান্টের পা থেকে। গোল করেই জিওভান্নি রেইনাকে জায়গা ছেড়ে দেন হরলান্ড। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১৩৯ মিনিট মাঠে থেকে গোল করেছেন সাতটি।

এত কম সময়ে সাত গোল করার পর হরলান্ড ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি নাকি পুরোপুরি ফিট নন! ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে জোড়া গোলের পর বলেছেন, ‘আমি এখনো শতভাগ ফিট নই। আমাকে আরও ফিট হতে হবে।’

ফিট না হয়েই যে স্ট্রাইকার গোলপ্রতি ১৯.৮৬ মিনিট সময় নিচ্ছেন, শতভাগ ফিট হলে কী অবস্থা হবে কল্পনা করতে পারছেন? বুন্দেসলিগার ডিফেন্ডাররা হয়তো সে কল্পনাটুকুও করতে চাইবেন না!