ইউটিউবে নিজের খেলা দেখেই অবিশ্বাস্য মনে হয় রিয়াল তারকার

রিয়ালে এসে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন ইয়োভিচ। ছবি : এএফপি
রিয়ালে এসে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন ইয়োভিচ। ছবি : এএফপি
>

এই মৌসুমেই ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন সার্বিয়ান স্ট্রাইকার লুকা ইয়োভিচ। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের মূল স্ট্রাইকার হবেন, গোলের পর গোল করে বিশ্বসেরা স্ট্রাইকারদের কাতারে আসবেন, এমনটা স্বপ্ন থাকলেও স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার মেলবন্ধন হয়েছে সামান্যই

এই গ্রীষ্মেরই তো কথা।

করিম বেনজেমার ওপর চাপ কমাতে দলে নতুন এক স্ট্রাইকার নিয়ে এল রিয়াল মাদ্রিদ। জার্মান লিগ আর ইউরোপে লিগে ফ্রাঙ্কফুর্টের সার্বিয়ান স্ট্রাইকার লুকা ইয়োভিচ তখন ক্যারিয়ার-সেরা ফর্মে। স্ট্রাইকারটিকে জার্মানি থেকে স্পেনে আনতে ৬০ মিলিয়ন ইউরো দরকার হলো। বেনজেমার বয়স তিরিশের ওপারে, রিয়ালের আশা ছিল আস্তে আস্তে বেনজেমার জায়গাটা নিতে পারবেন ইয়োভিচ। ইয়োভিচের নিজের মনের আশাও ব্যতিক্রম কিছু ছিল না। কিন্তু সেই আশা পূরণ হচ্ছে কোথায়?

রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন মাত্র একটা। যথেষ্ট বাজে ফর্ম। তবে গোল না করার চেয়ে যে জিনিসটা চোখে পড়েছে বেশি করে, সেটা হলো ইয়োভিচের আত্মবিশ্বাসহীনতা। সেই পুরোনো আত্মবিশ্বাসী ইয়োভিচকে দেখাই যাচ্ছে না মাঠে। দলের খেলায় ইতিবাচক কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। নিন্দুকেরা ঠাট্টা করে বলতেই পারেন, ইয়োভিচের মুখোশ পরিয়ে আরেকজনকে পাঠিয়ে দিল না তো ফ্রাঙ্কফুর্ট?

না, সেটা হয়নি। ইয়োভিচ নিজেও নিজের ফর্ম নিয়ে খুব বেশি খুশি নন। বুঝতে পারছেন, তাঁর ওপর যে প্রত্যাশা ছিল, পূরণ করতে পেরেছেন তার সামান্যই। এখন এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে, ইউটিউবে নিজের আগের খেলাগুলো, দুর্ধর্ষ সেই গোলগুলো দেখলে নিজের সঙ্গে মেলাতে পারেন না!

সার্বিয়ার এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন এসব, ‘যেমন মৌসুম কাটাচ্ছি, তাতে আমি সুখী নই। অন্তত প্রথম কয়েক মাসে যা হলো তা নিয়ে তো নয়-ই। আমি জানি, আমি এর চেয়ে আরও অনেক ভালো খেলতে পারি। মাঝে মাঝে আমি ইউটিউবে নিজের খেলা দেখে নিজেকেই জিজ্ঞেস করি, “কী হলো ছেলেটার?”’

রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হিসেবে উপজাত হিসেবে জুড়ে বসে বাড়টি চাপ। সে চাপ সহ্য করে কেউ উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেন, আবার কেউ চাপে ভেঙে পড়েন। আপাতত ইয়োভিচ আছে দ্বিতীয় দলেই। সেটা তাঁর থেকে ভালো কেউই বুঝছে না, ‘আপনারা সবাই জানেন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হওয়ার চাপ কেমন। তার ওপর আপনার বয়স যদি একুশ হয় ও রিয়ালের মতো ক্লাব যদি আপনার জন্য ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে। তাহলে তো কথাই নেই।’

এই খারাপ সময় বেশি দিন থাকবে না, আশাবাদী ইয়োভিচ, ‘সার্বিয়ায় অনেকে আমার খেলার ধরন নিয়ে নেতিবাচক কথা বলছে। তবে আমি নিশ্চিত, আমি ফর্মে ফিরবই। ভালো খেলার সামর্থ্য আছে আমার।’