রোনালদো সম্পর্কে যে দশটি তথ্য অনেকেরই অজানা

আজ রোনালদোর ৩৫তম জন্মদিন। ছবি-ইনস্টাগ্রাম
আজ রোনালদোর ৩৫তম জন্মদিন। ছবি-ইনস্টাগ্রাম

বয়স কাউকে কাউকে স্পর্শ করতে পারে না। যেমন পারেনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। এই যেমন আজ পর্তুগিজ উইঙ্গার ৩৫-এ পা দিলেন এটা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য লাগতে পারে। কই, মাঝবয়সের ছাপ তো তাঁর খেলায় বিন্দুমাত্র পড়েনি! এখনো তিনি তাঁর চেয়ে বছর দশেক ছোট খেলোয়াড়দের সঙ্গে দিব্যি পাল্লা দিয়ে গোল করে চলেছেন। কীভাবে নিজেকে এত ফিট আর আরও সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত রাখছেন, এটা একটা রহস্য বটে। 

সেই রহস্য জানার অপেক্ষায় থাকা যাক। আপাতত তাঁর ৩৫ তম জন্মদিনে রোনালদো সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য দেওয়া যেতে পারে, যেগুলো অনেকেরই হয়তো অজানা।

১. পুরো নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দস সান্তোস আভেইরো। রোনালদো নামটা রেখেছিলেন তাঁর বাবা, সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের নামের সঙ্গে মিল রেখে। অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছিলেন রিগ্যান। ছিলেন রোনালদোর বাবার প্রিয় অভিনেতা।

২. ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির থেকে বেঁচে ফেরা একটা ছেলের ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যার গায়ে ছিল পর্তুগালের জার্সি। সেই ছেলের সঙ্গে দেখা করতে ইন্দোনেশিয়া উড়ে গিয়েছিলেন রোনালদো, নিয়েছেন তাঁর পড়ালেখার খরচ চালানোর দায়িত্বও।

৩. একটা গবেষণায় দেখা গেছে, রোনালদো যখন লাফান তখন একটা উড়ন্ত চিতার চেয়েও বেশি শক্তি তৈরি হয়ে তাঁর শরীরে।

৪. দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গড়ে ৪৪ সেন্টিমিটার লাফাতে পারেন রোনালদো, দৌড়ে এসে ৭৮ সেন্টিমিটার। যেটা একজন বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের চেয়েও বেশি।

৫. অন্যদের চেয়ে হৃৎপিণ্ড একটু বেশি দ্রুত চলত বলতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল রোনালদোর।

৬. বেড়ে ওঠার সময় রোনালদোর প্রিয় খেলোয়াড় ছিলেন আরেক পর্তুগিজ কিংবদন্তি লুইস ফিগো।

৭. নিজের শরীরে কোনো উলকি আকেঁননি রোনালদো, কারণ তিনি নিয়মিত রক্তদান করেন। যাদের শরীরে উলকি আছে, তাঁদের রক্ত দেওয়ার জন্য ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষা করতে হয়।

৮. বিশ্বের প্রথম তারকা যার ইনস্টাগ্রাম অনুসারী ২০ কোটি ছাড়িয়েছে।

৯. ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে বছরে ৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার আয় করেন রোনালদো, যেটা জুভেন্টাসে তাঁর বার্ষিক বেতনের (৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার) চেয়েও বেশি।

১০. কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রোনালদোর ওপর আলাদা একটি কোর্স পড়ানো হয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওকান্যাগান ক্যাম্পাসের ওই কোর্সের মূল প্রতিপাদ্য সমাজ ও সংস্কৃতিতে রোনালদোর প্রভাব।