দুবার পিছিয়ে পড়েও হারেনি আবাহনী

মালদ্বীপের মাজিয়ার বিপক্ষে হার এড়িয়েছে আবাহনী। ছবি: শামসুল হক
মালদ্বীপের মাজিয়ার বিপক্ষে হার এড়িয়েছে আবাহনী। ছবি: শামসুল হক
>এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ডে মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে আবাহনী লিমিটেড

দুইবার পিছিয়ে পড়েছিল আবাহনী লিমিটেড। দুবারই ফিরেছে সমতায়। শেষ পর্যন্ত এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ডের ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে জয়ের প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছেন সানডে চিজোবা, মামুনুল ইসলামরা। কিন্তু সেটি হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্রতেই সন্তুষ্টি তাদের। ম্যাচটা তো আর হারতে হয়নি!

ঘরের মাঠের এই ড্রটা অবশ্য আবাহনীকে কিছুটা পিছিয়েই দিয়েছে। ২ গোল খাওয়াটাই কাল হয়ে দেখা দিতে পারে। ১২ ফেব্রুয়ারি  মালেতে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটা গোলশূন্য ড্র হলেই দ্বিতীয় পর্বে চলে যাবে মালদ্বীপের ক্লাবটি। আর দ্বিতীয় পর্বে স্থান করে নিতে জিততেই হবে আবাহনীকে।


মনে হতে পারে আবাহনী খেলেছে দুর্দান্ত। দুইবার পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে তো ভালো খেলতেই হয়। কিন্তু সত্যি বলতে, গত মৌসুমে এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক ফুটবলে ফাইনালের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া আবাহনী আর নিজেদের চেনাতে পারেনি। গত এএফসি কাপে ৪ ম্যাচ খেলে তিন জয়ের বিপরীতে একটা ম্যাচ ড্র করেছিল আবাহনী। জয় এসেছিল উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল ২৫-এর মতো শক্তিশালী ক্লাবের বিপক্ষেও। কিন্তু আজ মালদ্বীপের মাজিয়ার বিপক্ষে কার্যকরী ফুটবল খেলতে ব্যর্থ আবাহনী। আবাহনীর খেলায় আকর্ষণ বলতে ছিল ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার মাইলসনের দুর্দান্ত ভলিতে করা গোলটি। অন্য গোলটি সানডে চিজোবার।

৩২ মিনিটেই সানডের গোলেই এগিয়ে যেতে পারত আবাহনী। মামুনুলের নেওয়া কর্নার থেকে সানডের হেড সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। উল্টো ৪২ মিনিটে ইব্রাহিম মাহুদির গোলে এগিয়ে যায় মাজিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে মালদ্বীপের ক্লাবটিকে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন  সেন্ট ভিনসেন্ট জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক কর্নেলিউস এজেকিয়েল।


বিরতির ঠিক আগেই আবাহনীকে সমতায় ফেরান মাইলসন ভেরিয়াতো। রায়হান হাসানের এরিয়াল পাস বক্সের মধ্যে ঊরুতে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভলিতে তিনি বোকা বানান মাজিয়া গোলরক্ষককে।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় মাজিয়া। মিফিল্ডার হাসান নাইজের শট আবাহনী গোলরক্ষক শহীদুল আলম ফিস্ট করলে ফলো থ্রুতে থাকা কর্নেলিউস প্লেসিং শটে জালে জড়িয়ে দেন। ৭৮ মিনিটে সানডের গোলে সমতায় ফেরে আবাহনী। দ্বিতীয়বার সমতায় ফেরার পর উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিল আবাহনী। কিন্তু জয়টা আর পাওয়া হয়ে ওঠেনি।

এ নিয়ে এএফসি কাপে মালদ্বীপ ক্লাবের বিপক্ষে পাঁচটি ম্যাচ খেলল আবাহনী। আজকের ড্রয়ের আগে চারটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা। এবার অন্তত হার এড়ানো গেছে—আবাহনীর জন্য এটা হতে পারে প্রাপ্তির জায়গা।