স্বামীকে খোঁচা, কড়া জবাব মায়ান্তির

এই ছবিতেই শুরু হয়েছিল সব আলোচনা। ছবি: মায়ান্তি ল্যাঙ্গার টুইটার
এই ছবিতেই শুরু হয়েছিল সব আলোচনা। ছবি: মায়ান্তি ল্যাঙ্গার টুইটার

ক্রিকেট এর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঞ্চালক হিসেবে পরিচিত পেয়ে গেছেন মায়ান্তি ল্যাঙ্গার। স্টার স্পোর্টসের দুঁদে বিশ্লেষকদের সঙ্গে এখন পাল্লা দেন সমানে। ধীরে ধীরে সঞ্চালক থেকে ক্রিকেট বিশ্লেষকই হয়ে উঠছেন সাবেক ফুটবলার ও ফুটবল শো সঞ্চালক। কিন্তু তাঁর পেশাদার জীবনে বারবার ঘুরে ফিরে আসে পারিবারিক জীবন। এবং তাঁর স্বামীকে নিয়ে প্রতিনিয়ত খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা চলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

২০১২ সালে ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট বিনিকে বিয়ে করেন মায়ান্তি। স্টুয়ার্টের বাবা রজার বিনি ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেও বাবার মতো সাফল্য পাননি স্টুয়ার্ট। মাত্র ২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ২০১৪ সালে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারতকে জয় এনে দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট। কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে ভারত দলে আর ডাক পড়েনি তাঁর।

আর এরই প্রভাব পড়ছে মায়ান্তির ক্যারিয়ারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত তাঁকে খোঁচা শুনতে হয় স্বামীর ব্যর্থতা নিয়ে। এর অন্যথা হয়নি গত ৪ ফেব্রুয়ারি। নিজের অনুষ্ঠানের আগে নিজের একটি ছবি দিয়েছিলেন মায়ান্তি। ছবির সঙ্গে মানানসই একটা ক্যাপশনও দিয়েছিলেন, ‘আমাদের স্টুডিওতে জীবনটা বেশ ঝলমলে।’ এমন এক ছবিতে এক টুইটার ব্যবহারকারী এসে মন্তব্য করেছিলেন, ‘স্টুয়ার্ট বিনি ইদানীং কী করে?’ আরেকজন এসে জবাব দেন, ‘তাঁর (ল্যাঙ্গারের) ব্যাগ বহন করতে সহযোগিতা করে।’ অর্থাৎ স্ত্রীর সাফল্যই এখন একমাত্র অবলম্বন জাতীয় দলে ব্যর্থ স্টুয়ার্টের।

মায়ান্তির জন্য এমন খোঁচা নতুন কিছু নয়। তাই কীভাবে এমন কিছুর জবাব দিতে হয়, সেটাও জানা ছিল তাঁর, ‘ধন্যবাদ, কিন্তু আমি নিজের ব্যাগ নিজেই বহন করতে পারি। সে নিজের জীবন যাপন করছে, ক্রিকেট খেলছে। সব মিলিয়ে অসাধারণ আছে। অন্তত যাদের চেনে না এমন ব্যক্তির ব্যাপারে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছে না।’