মাহমুদুল ছাড়া আর 'কারও' নেই এ রেকর্ড

ম্যাচ সেরা মাহমুদুল অনন্য এক অর্জনে নাম লিখিয়েছেন। ছবি: আইসিসি
ম্যাচ সেরা মাহমুদুল অনন্য এক অর্জনে নাম লিখিয়েছেন। ছবি: আইসিসি
>অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মাহমুদুলের সেঞ্চুরি অনন্য হয়ে থাকবে। কারণ, ভারতীয় নন এমন ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এবারই প্রথম

প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ। শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ নয়, যে কোনো ধরনের ক্রিকেটেই বৈশ্বিক কোনো প্রতিযোগিতায় এই প্রথম শিরোপার এতটা কাছাকাছি এল বাংলাদেশ দল। আর যদি গন্ডিটা ক্রিকেটে আটকে রাখতেও না চান, তবু দলীয় কোনো খেলায় বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার সুযোগ বা সৌভাগ্য কখনোই হয়নি বাংলাদেশের। সে হিসেবে আকবর আলী-তৌহিদ হৃদয়দের দলটি এর মাঝেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনন্য হয়ে থাকল।

নিজেদের বিশেষ করে নেওয়া এই যাত্রায় কাল সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পচেফস্ট্রুমে গতকাল বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর মাহমুদুল হাসানের ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি বাংলাদেশকে এনে দিল অনন্য এক স্বাদ। বিশ্ব ক্রিকেটই এমন স্বাদ পেল বহুদিন পর। সেই কবে ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাইনালে উঠেছিল। এরপর আর কোনো নতুন দলকে যে দেখায়ই যায়নি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে।

অনন্য কিছু করে দেখানোর কথাই যখন হচ্ছে, তবে মাহমুদুল বাদ যান কীভাবে। গতকাল শুধু প্রান্ত বদল করে আর সুযোগ পেলে বল সীমানা ছাড়া করেই দলকে নিশ্চিত জয় এনে দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর একটু বেখেয়ালে উইকেট হারিয়েছেন। কিন্তু ৪২ বলে আর মাত্র ১১ রান নিতে কোনো সমস্যা হয়নি দলের বাকিদের। আউট হওয়ার আগের বলেই অবশ্য সুইপ করে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। সেটাই তাঁকে বসিয়ে দিয়েছে অন্য চূড়ায়।

যুব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৮০ রানের। এবারই কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেটা করেছিলেন দলের ওপেনার তানজিদ হাসান। সেটাকে টপকে একদম সেঞ্চুরি করেই তবে থেমেছেন মাহমুদুল। আরা তাতেই প্রথম কোনো অভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন বাংলাদেশি তরুণ। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। ১৯৯৮ সাল থেকে চলা এ টুর্নামেন্ট প্রতি দুই বছর পর পর আয়োজিত হলেও এর সেমিফাইনালে এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি শুধু ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা করে দেখাতে পেরেছেন। এর বাইরে অন্য কারও তিন অঙ্ক ছোঁয়ার ঘটনা কালই প্রথম হলো।

এমন অর্জনের রহস্যটা জানতে চান? মাহমুদুল গোপন করার কোনো চেষ্টাই করেননি, ‘আমি শুধু স্ট্রাইক পরিবর্তন করে খেলতে চেয়েছি। এটুকুই।’