যাঁকে দেখে নিজের কথা মনে পড়ে টেন্ডুলকারের

লাবুশেনের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন টেন্ডুলকার। ছবি : এএফপি
লাবুশেনের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন টেন্ডুলকার। ছবি : এএফপি
ভালো ব্যাটসম্যানের সঙ্গে নিজেকে তুলনীয় হতে দেখলে, কে না খুশি হন! আর সেই ভালো ব্যাটসম্যানটা যদি শচীন টেন্ডুলকার হন? তাহলে আনন্দে পা মাটিতে পড়ার কথা না। এমনটাই অবস্থা হয়তো হয়েছে মারনাস লাবুশেনের


সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দৈনিক পত্রিকার পাতায় বা স্মার্টফোনের স্ক্রিনে খবরটা দেখে মারনাস লাবুশেন অবিশ্বাস নিয়ে দুই-একবার চোখ কচলেছেন কি না কে জানে! ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার যে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটসম্যানের খেলা দেখে তাঁর নিজের কথা মনে পড়ে যায়। যেকোনো ব্যাটসম্যানের কাছে প্রশংসাটা মহার্ঘ্যসম।

অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য হতে যাওয়া বুশফায়ার ক্রিকেট ব্যাশে রিকি পন্টিংয়ের দলকে কোচিং করানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। ‘ছাত্র’ হিসেবে এই ম্যাচে টেন্ডুলকার পাবেন ম্যাথু হেইডেন, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, রিকি পন্টিং, ব্রায়ান লারা, ব্র্যাড হাডিন, ব্রেট লি, ওয়াসিম আকরামদের। পন্টিংদের বিপক্ষে লড়বে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের দল। গিলক্রিস্ট ছাড়াও যে দলে রয়েছেন শেন ওয়াটসন, যুবরাজ সিং, ব্র্যাড হজ, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, কোর্টনি ওয়ালশের মতো তারকারা। সে উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই প্রসঙ্গক্রমে উঠেছে লাবুশেনের কথা। সেখানেই টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘এখনকার কোনো ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নিজের ছায়া দেখার কথা বলতে হলে আমি মারনাস লাবুশেনের কথাই বলব।’
লাবুশেনের ব্যাটিংয়ের কোন দিনটা মুগ্ধ করে টেন্ডুলকারকে? সেটাও বলেছেন ‘লিটল মাস্টার’, ‘ওর পায়ের কাজ (ফুটওয়ার্ক) অসাধারণ। একটা ঘটনার কথা মনে পড়ছে আমার। সেদিন জফরা আর্চারের দ্বিতীয় বলটা মোকাবিলা করতে গিয়ে ওর হেলমেটে লাগল। কিন্তু সেই ঘটনার পর ও পরের পনেরো মিনিট যেভাবে ব্যাট করল, আমি নিজেই নিজেকে বললাম, এ তো অসাধারণ। কিছু আছে ওর মধ্যে। ওর পায়ের কাজ অসাধারণ। দেখেই বোঝা যায়, বল খেলার সময় পা নাড়ানোর ক্ষেত্রে ও শরীর না, বরং মস্তিষ্কের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি আপনার মাথায় ভালোভাবে চিন্তা ও পরিকল্পনা না করেন, তাহলে এমন চমৎকারভাবে পা নাড়াতে পারবেন না। ওটা দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি, এই ছেলে মানসিকভাবে অনেক শক্ত।’
লাবুশেনের প্রশংসায় টেন্ডুলকার পঞ্চমুখ হবেন নাই বা কেন! ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ক্যারিয়ার শুরু করা লাবুশেন গত বছর অসাধারণ ফর্মে ছিলেন। ঘরের মাঠে পাঁচ টেস্টে ৮৯৬ রান করেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজেও ছিলেন দুর্দান্ত, করেছেন ৫৪৯ রান। যার মধ্যে তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিটাও আছে। এই মুহূর্তে আইসিসির টেস্ট ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে কোহলি-স্মিথের পরে তিন নম্বরে আছেন ২৫ বছর বয়সী লাবুশেন।