'পাকিস্তানিদের বলছি এই পতাকা অনেক দামি'

কাল রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পতাকা। সাদমানের সঙ্গে বাঁ পাশের ছেলেটা পাকিস্তানি। ছবি: রানা আব্বাস
কাল রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পতাকা। সাদমানের সঙ্গে বাঁ পাশের ছেলেটা পাকিস্তানি। ছবি: রানা আব্বাস
>

রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ছবি তুলতে ভীষণ আগ্রহী পাকিস্তানি দর্শকেরা

সাপ্তাহিক ছুটি বলে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের গ্যালারি প্রায় পূর্ণ ছিল কাল। বলার অপেক্ষা রাখে না, দর্শকদের সবাই প্রায় পাকিস্তানি। হাজারো দর্শকের ভিড়ে হঠাৎ চোখে আটকে গেল পাকিস্তান দলের ড্রেসিংরুম লাগোয়া ‘ইমরান খান স্ট্যান্ডে’। পাকিস্তানের পতাকার ভিড়ে দেখা যাচ্ছে এক টুকরো লাল-সবুজ!

চা–বিরতিতে সেখানে গিয়ে জানা গেল, ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরত ইলিয়াস আহমেদ এসেছেন তাঁর পরিবার নিয়ে। তিনি ইসলামাবাদে আছেন পাঁচ বছর হলো। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে স্ত্রী মুরশেদা আক্তার, ছেলে মাহবুবুল আলম, সালিম সাদমান ও মেয়ে উম্মে হাবিবাকে নিয়ে এসেছেন খেলা দেখতে।

ইলিয়াসই জানালেন, পাকিস্তানি দর্শকেরা নাকি ভীষণ আগ্রহী বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ছবি তুলতে। সকাল থেকে তাই অনেকের সঙ্গে ছবি তুলতে হয়েছে তাঁদের। তাঁর ৮ বছর বয়সী ছেলে সাদমানকে দেখা গেল আরেক পাকিস্তানি শিশুকে নিয়ে গ্যালারিতে পতাকা ধরে রেখেছেন। ‘ছবি তুলতে চাইলে ওদের বলেছি, এই পতাকা অনেক দামি’—ইলিয়াসের মুখে খেলা করে গর্বের হাসি।

মাঠের খেলায় গত দুদিনে ইলিয়াসদের যদিও খুব বেশি হাসির উপলক্ষ এনে দিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনও নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। তবুও ইলিয়াস আশা হারাচ্ছেন না মুমিনুলদের নিয়ে, ‘দলে নেই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার (সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম)। আর খেলতে হচ্ছে গ্যালারিভর্তি প্রতিপক্ষ দর্শকদের সামনে। এখানে ওদের সমর্থন দেওয়ার তেমন দর্শক নেই। যা খেলছে সেটি নিয়ে এত হতাশ হচ্ছি না। আশা করি, দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভালো ব্যাটিং করবে।’

ইলিয়াস যেমন বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আশা হারাচ্ছেন না, তাঁর ছোট্ট ছেলে আস্থা রাখছে তামিম ইকবালের ওপর, ‘খারাপ খেললেও তিনি আমার প্রিয় খেলোয়াড়। একবার পারেনি, পরেরবার নিশ্চয়ই ভালো করবে।’

ইলিয়াস কিংবা সাদমানের আশা পূরণ হয় কি না, দেখাই যাক।