বিশ্বজয় করতে যুবাদের দরকার ১৭৮

ভারতকে ভালোই ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ছবি: আইসিসি
ভারতকে ভালোই ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ছবি: আইসিসি
যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারত। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট অভিষেক দাসের। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান


শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বোলাররা। দুই পেসার শরিফুল ইসলাম আর তানজীম হাসান সাকিব উজাড় করে দিলেন নিজেদের। তানজিমের তিন ওভারে রান আসে মাত্র এক। শরিফুলের বলগুলোও বারবারই গিয়েছে ভারতের দুই ওপেনারের ব্যাটে হাওয়া লাগিয়ে। শুরুর সেই রাজত্ব শেষ পর্যন্ত ধরে রাখলেন বাংলাদেশের যুবারা। যুব বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটিং–লাইনআপকে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানেই থামিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। প্রথমবারের মতো ফাইনালে বিশ্বজয় করতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের প্রয়োজন ১৭৮ রান।

বোলিংটা আজ দুর্দান্ত করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলাররা। শরিফুল ইসলাম শুরু করেছিলেন। তানজীম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস, রকিবুল হাসান, শামীম হোসেন—সবাই ছিলেন দারুণ। প্রথম ৩৬ ওভারের মধ্যে ১২৫ বলে কোনো রান দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। এবারের যুব বিশ্বকাপের সবচেয়ে সেরা ব্যাটিং–লাইনআপকে ২১ ওভার কোনো রান করতে না দেওয়া কিন্তু সহজ কোনো বিষয় নয়। বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংটাও ছিল দুর্দান্ত। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সত্যিকার অর্থে সুযোগই পাননি হাত খুলে খেলার।

ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল একাই লড়ে যাচ্ছিলেন এক দিক ধরে রেখে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আঁটসাঁট বোলিংয়ের মধ্যেও তিনি খেলেছেন নিজের খেলাটাই। এবারের যুব বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান তিনি। ব্যক্তিগত ৮৮ রানে তাঁকে তানজীদ হাসানের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। এই শরিফ ১০ ওভার বোলিং করে ৩১ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। যশস্বী জয়সোয়াল ফিরেছেন ১২১ বলে ৮৮ রান করে। ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় সেরা সংগ্রহ তিলক ভার্মার। তিনি ৬৫ বলে করেছেন ৩৮। জয়সোয়াল যখন ফেরেন, তখন ভারতীয় দলের সংগ্রহ ১৫৬/৩। তারা শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ২১ রানে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্য শরিফুল ছাড়াও দুর্দান্ত ছিলেন তানজীম হাসান। ৮.২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নিজের প্রথম দুই ওভারই মেডেন দিয়ে শুরু করেছিলেন তিনি। অভিষেক দাস উইকেটের দিক দিয়ে সবচেয়ে সফল। তিনি ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাঁ হাতি স্পিনার রকিবুল হাসান নিয়েছেন এক উইকেট।

চূড়ান্ত সাফল্য পেতে শেষ ধাপ জয় করা এখনো বাকি। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে হবে তৌহিদ হৃদয়, তানজীদ হাসান, শাহাদাত হোসেনদের। কাজ এখনো অনেক বাকি। যুবারা কি পারবেন শেষ ভালোটা নিশ্চিত করে দেশকে আনন্দে ভাসাতে!