২১২ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

নাসিম শাহকে রান আউট করে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেওয়ার উল্লাস বাংলাদেশের। ছবি: এএফপি
নাসিম শাহকে রান আউট করে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেওয়ার উল্লাস বাংলাদেশের। ছবি: এএফপি
>

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তামিম-সাইফ

সকালের সেশনে প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন আবু জায়েদ। মধ্যাহ্নভোজের পর দ্বিতীয় সেশনেও প্রথম ওভারে এসেছে উইকেট। পাকিস্তানের ‘লেজ’-এর ব্যাটসম্যান শাহীন আফ্রিদিকে তুলে নেন রুবেল হোসেন। এরপর মোহাম্মদ আব্বাস ২৬ বল খেলে এক প্রান্ত আটকে রাখার চেষ্টা করলেও অন্য প্রান্তে নাসিম শাহ রান আউট হওয়ায় দ্রুতই অলআউট হয় পাকিস্তান।

প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানে গুটিয়ে গেল পাকিস্তান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ২১২ রানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিকেরা। কাল ৩ উইকেটে ৩৪২ রানে দিন শেষ করা পাকিস্তানকে আজ বেশি দূর এগোতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। তৃতীয় দিনে ৩৬ ওভার টিকেছে পাকিস্তানের ইনিংস। এর মধ্যে ১০৩ রান দিয়ে বাকি ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন জায়েদ-রুবেলরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

তৃতীয় দিনে পেসাররাই বেশি সফল। ৭ উইকেটের মধ্যে ৫টি ভাগ করেছেন রুবেল-জায়েদ-ইবাদত। ৭৫ রান করে পথের কাঁটা হয়ে থাকা হারিস সোহেলকে তামিম ইকবালের ক্যাচে পরিণত করেন তাইজুল ইসলাম। পাকিস্তানের টেল-এন্ডারদের মুড়িয়েছেন রুবেল। রিজওয়ান, ইয়াসির ও আফ্রিদিকে তুলে নেন এ পেসার। ১১৩ রানে ৩ উইকেট নেন রুবেল। ৮৬ রানে ৩ উইকেট নেন আবু জায়েদ।

এর আগে তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারেই উইকেট নেন জায়েদ। তাঁর সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে মোহাম্মদ মিঠুনকে ক্যাচ দেন বাবর (১৪৩)। পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যানটিকে আজ কোনো রান যোগ করতে দেননি জায়েদ। এরপর উইকেটে আসাদ শফিকের সঙ্গে যোগ দেন হারিস সোহেল। দিনের সপ্তম ওভারে আসাদকে (৬৫) উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন ইবাদত।

ষষ্ঠ উইকেটে ২১ রানের জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান-হারিস সোহেল। কিন্তু রুবেল হোসেনকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন রিজওয়ান। ইয়াসির শাহকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রুবেল। এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন। সকালের সেশনে তিন পেসার দারুণ বল করে পাকিস্তান ব্যাটিং অর্ডারের ‘লেজ’ বের করে ফেলেন। দ্রুতই ব্যাট করতে নামতে হয় টেল-এন্ডারদের ।

টেস্টের প্রথম দিন মধ্যাহ্নভোজের আগে ৯৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে থাকতে সকালে সেশনে ৯৫ রানের বিনিময়ে নিতে পেরেছে ২ উইকেট। সে তুলনায় আজ সকালের সেশনটাই ছিল বাংলাদেশের জন্য সেরা। দ্বিতীয় সেশনেও ভালো বোলিং করেছে বাংলাদেশ। এখন ব্যাটসম্যানেরা কী করেন, সেটাই দেখার বিষয়।