'এ সাফল্য গত দেড়-দুই বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল'

দলকে এক সুতোয় গেঁথেছিলেন অধিনায়ক আকবর। ছবি: আইসিসি
দলকে এক সুতোয় গেঁথেছিলেন অধিনায়ক আকবর। ছবি: আইসিসি

ইস্পাত-দৃঢ় মনঃসংযোগ। বরফের মতো শীতল স্নায়ু। আজ পচেফস্ট্রুমে নিজেকে যেন অন্য মাত্রায় তুলে ধরেছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলী। কী অসাধারণ দৃঢ়তায় তিনি স্রোতের বিপরীতে লড়ে দেশকে নিয়ে গেলেন বিশ্বজয়ের মঞ্চে।

কিন্তু এমন ইনিংস খেলেও সব আবেগকে দূরেই রাখলেন আকবর। অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবারের মতো দেশকে এনে দিয়েছেন বৈশ্বিক শিরোপা। কিন্তু ম্যাচ শেষে তিনি এমনভাবে কথা বললেন, যেন এই মাত্র সাধারণ একটা ম্যাচ জিতেছেন। নিজের লড়াইকে তিনি সহজভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন, ‘আমি ব্যাটসম্যানদের এটাই বলছিলাম উইকেট না হারিয়ে যেন জুটি গড়তে পারি।’

আকবর জানতেন ভারতের বিপক্ষে রান তাড়াটা খুব সহজ হবে না। দারুণ বোলিংয়ে তর্কসাপেক্ষে যুব বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটিং লাইনআপকে ১৭৭ রানে বেঁধে ফেলার পরেও আকবর মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন ভারতীয় বোলারদের পাল্টা তোপের জন্য, ‘রান তাড়াটা যে কঠিন হবে, সেটা জানতাম। কারণ, ভারত সহজে ছেড়ে দেওয়ার দল নয়।’

অনেক কষ্ট করে এই পর্যায়ে আসা। অনেক পরিশ্রমের পর একটা দল হিসেবে গড়ে ওঠা। বিজয়ের দিনে আকবর মনে করলেন কষ্টের সেই দিনগুলোই, ‘এটি অনেকটা স্বপ্ন বাস্তব হওয়ার মতো। আমরা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। এটা গত দেড়-দুই বছরে আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল।’

এই সাফল্য দিয়ে দেশের ক্রিকেটকে নতুন করেই স্বপ্ন দেখাতে শুরু করল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আকবর সে কথাটাই বললেন ম্যাচ শেষে, ‘আশা করছি এই জয় আমাদের ক্রিকেটের এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে।’