যুবাদের বিশ্বজয় দেখতে টিভির সামনে বসেছিলেন মুমিনুলরা

>বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্ব জয়ের পর পাকিস্তান থেকেই অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন মুমিনুল। প্রথম আলোকে বলেছেন উত্তরসূরিদের প্রাপ্য এ শিরোপা

বিশ্বমঞ্চে সাফল্যের ক্ষুধা বাংলাদেশের বহুদিনের। কিন্তু মূল বিশ্বকাপ তো বটেই, বয়সভিত্তিক দলেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল সেমিফাইনাল খেলা। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে বহু আশা নিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। মিরাজ-সাইফউদ্দিনদের সে দল স্বাগতিক হয়েও পারেনি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই বিশ্ব জয় করে ফিরল বাংলাদেশ। দারুণ নাটকীয় এক ফাইনাল শেষে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথম কোনো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ এনে দিলেন আকবর-পারভেজ-রকিবরা।

এমন জয়ের পর স্বভাবতই আবেগে ভাসছে পুরো দেশ। পাকিস্তানে টেস্ট খেলায় ব্যস্ত জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও এর বাইরে নেই। এ কারণেই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ব্যস্ততার মাঝেও খেলা দেখেছেন আর ম্যাচ শেষে প্রথম আলোর কাছে উল্লাস প্রকাশ করেছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, ‘রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে আমরা সবাই ফাইনাল দেখতে বসে ছিলাম টিভির সামনে। ভীষণ টেনশনই হচ্ছিল কী হয়, কী হয় ভেবে! যখন ৩০ রান দরকার ছিল, অনেকগুলো ডট বলে গেছে, ভাবছিলাম পারবে তো?’

দুই বছরের পরিকল্পনায় এসেছে এ সাফল্য। দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল পেয়েছে দল। এ কারণেই তৃপ্তি পাচ্ছেন মুমিনুল, ‘এটা যেনতেন ঘটনা নয়, অনেক বড় ঘটনা। আমাদের খেলাধুলার ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ঘটনা আর কী হতে পারে? বাংলাদেশ যে বিশ্বকাপ জিতেছে! অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে আমরা কখনো দাপট দেখিয়ে খেলতে পারেনি। এবার পুরোই অন্য ছবি দেখা গেছে। পুরো টুর্নামেন্টে ভীষণ ধারাবাহিক খেলেছে আমাদের দল। এ সাফল্য ওদের পাওনা।’

যেকোনো পর্যায়েই বিশ্বকাপ জেতা যে কত কঠিন সেটা সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘যে কাজটা সাকিব-তামিম-মুশফিক ভাই এমনকি আমরাও পারিনি, বাংলাদেশ ক্রিকেটে যা আগে কখনো হয়নি, তারা সেটা করে দেখিয়েছে। অনেকটা ভারমুক্ত মনে হচ্ছে এখন! শিরোপা জয়ীদের তালিকায় এখন থেকে থাকবে বাংলাদেশেরও নাম। আকবর তোমাদের অনেক অনেক অভিনন্দন আর অসংখ্য ধন্যবাদ, দেশের পতাকা তোমরা এত বড় মঞ্চে উড়িয়েছ।’