বসুন্ধরা কিংসে বরণ মেসি-সতীর্থকে

বসুন্ধরা কিংস মাঠে বার্কোস। ছবি: প্রথম আলো
বসুন্ধরা কিংস মাঠে বার্কোস। ছবি: প্রথম আলো
>আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার হার্নান বার্কোসকে ইউরোপের আদলে সংবর্ধনা দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। লিওনেল মেসির সাবেক আর্জেন্টাইন সতীর্থ এবার খেলবেন ঢাকার ফুটবলে।

মিরপুর থেকে আসা মোহাম্মদ জুনায়েদের গায়ে বসুন্ধরা কিংসের জার্সি। লাল রঙের জার্সির পেছনে লেখা হার্নান বার্কোস। হাতে ধরা বার্কোসের বিশাল আকারের পোস্টার, যেখানে আর্জেন্টিনার জার্সিতে উচ্ছ্বাস করছেন এই স্ট্রাইকার। জুনায়েদের মতোই একদল তরুণ-তরুণী বসুন্ধরা কিংসের মাঠে এসেছেন বার্কোসকে এক নজর দেখবেন বলে।

বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলতে পাঁচ দিন আগে ঢাকায় এসেছেন এই আর্জেন্টাইন। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ কাল আনুষ্ঠানিকভাবে বার্কোসের সঙ্গে চুক্তি সই করলেন। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত বার্কোসের সঙ্গে চুক্তি করেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে এলেও লিগের প্রথম লেগে খেলতে পারবেন না বার্কোস। কিন্তু এএফসি কাপের ম্যাচগুলোতে অংশ নেবেন। এরপর দ্বিতীয় লেগ শুরু হলে নিয়মিতই ঘরোয়া ফুটবলে দেখা যাবে দানিয়েল কলিনদ্রেসদের সঙ্গে মাঠ মাতাতে। এই অনুষ্ঠানে ক্লাবের পক্ষে চুক্তি সই করেন সভাপতি ইমরুল হাসান। অনুষ্ঠানে ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন।

বার্কোসকে বরণ করতে আয়োজনের কমতি ছিল না ক্লাবটির। সাধারণত বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে এভাবে বিদেশি ফুটবলারকে বরণ করতে খুব কমই দেখা গেছে। পুরো মাঠে বসানো বার্কোসের বড় আকারের অনেক পোস্টার। মাঠের এক কোণে ছোট্ট ঘর বানানো হয় বার্কোসের জন্য। ঘরের চারপাশটা বার্কোসের পোস্টারে ছাওয়া। ওই ঘর থেকে লাল গালিচার ওপর দিয়ে মঞ্চে হেটে আসেন বার্কোস। মাঠের একপাশে বসানো বড় পর্দায় শুরুতে দেখানো হয় বার্কোসের বিভিন্ন ম্যাচের আকর্ষণীয় খেলার কয়েকটি মুহূর্ত। চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পর ওড়ে লাল-নীল কনফেত্তি। এরপর ক্লাবের জার্সি পরে ফুটবল নিয়ে ঘাসের মাঠে কিছু কারিকুরি দেখান। উপস্থিত দর্শকেরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেন বার্কোসের ফুটবল কারিশমা।

বিশ্বের দশটি দেশের ক্লাবের হয়ে খেলেছেন বার্কোস। এবার এসেছেন বসুন্ধরা কিংসে। বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার কারণটা কাল বললেন, ‘আমি সহজেই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। ইন্টারনেট ঘেটে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের গত মৌসুমের সাফল্য দেখেছি। জেনেছি এই দলে আছেন স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলা পেশাদার কোচ ও ফুটবলার। ওদের দেখে আমি আত্মবিশ্বাস পাই এখানে খেলতে। তাইতো বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে অবদান রাখতে এখানে এসেছি।’

বয়স ছুঁয়েছে ৩৫। এই বয়সে কতটা ভালো খেলবেন? প্রশ্নটা বার্কোসকে করলেও মাইক্রোফোন টেনে নিয়ে উত্তরটা দিলেন কোচ অস্কার ব্রুজোন, ‘গত দুই বছর তাঁর রেকর্ড দেখে যা বুঝেছি সেটা হলো ৩৫ বছর মানে সে অনেক অভিজ্ঞ। গোলকিপার ও স্ট্রাইকারের বয়স বেশি হওয়া ভালো। আমি আশা করি মাঠে সে তার সেরাটাই খেলবে বসুন্ধরার জার্সিতে।’

সেই অপেক্ষাতেই যেন আছে বসুন্ধরা কিংসের সমর্থকেরা।