'আজ সকালেও অন্য দিনের মতোই খিদে লেগেছে '

ট্রফি হাতে আকবর আলী। ছবি: আইসিসি
ট্রফি হাতে আকবর আলী। ছবি: আইসিসি

অধিনায়ক আকবর আলী যখন কাল ব্যাটিংয়ে নামলেন, তখন বাংলাদেশ কাঁপছে ফাইনাল ম্যাচের চাপে। ৬২ রানে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের। পারভেজ হোসেন পেশির টানে মাঠের বাইরে। জয়ের জন্য তখনো দরকার ১১৬ রান। ধারাভাষ্যকার ও সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটার জেপি ডুমিনি বলছিলেন, ‘এই মুহূর্তে ১১৬ রান ২০০ রানের সমান।’ ডুমিনির কথাটা ভুল ছিল না।

সেই কঠিন সময়টা বাংলাদেশ পার করেছে অধিনায়ক আকবরের ঠান্ডা মেজাজে। উইকেটের চার পাশে বড় শট খেলার সামর্থ্য রাখেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় গুণ চাপের মুখে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করার সামর্থ্য। ব্যাটিংটা এ রকমই। কাল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪৩ রানের ইনিংসে চাপের পাহাড় পাড়ি দিয়ে এভাবেই বাংলাদেশকে শিরোপা এনে দিয়েছেন আকবর।

বাংলাদেশের জয়ের জন্য বাউন্ডারি পর বাউন্ডারি দরকার ছিল না। ছিল শুধুই এক-দুই রানে গড়া একটি জুটি। একের পর এক উইকেট শিকার করে সেটি হতে দেননি ভারতীয় বোলাররা। শাহাদাত হোসেন, মাহমুদুল হাসান, শামিম হোসেন, অভিষেক দাস একে একে ফিরে গেছেন। আরেক প্রান্ত থেকে দেখেছেন সতীর্থদের আসা যাওয়া।

কিন্তু সম্রাটের মতো টিকে ছিলেন আকবর। একের পর এক ডট বল খেলে গেছেন। রানের জন্য এক একটা বাজে বলের অপেক্ষায় ছিলেন। ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিয়ে গেছেন পুরো ইনিংস জুড়ে। দারুণ জুটি গড়েছেন শুশ্রূষা নিয়ে ফেরা পারভেজের সঙ্গে। নন স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে কোচের ভূমিকা পালন করে গেছেন সতীর্থদের জন্য। একবারও ফাইনালের চাপ পেয়ে বসতে দেননি। আজ সকালে আকবরকে আবিষ্কার করা গেল গতকালের মেজাজে। বিশ্বকাপ জেতার পরেও একেবারেই ঠান্ডা।

দক্ষিণ আফ্রিকায় তখন সকাল সাড়ে সাতটার মতো বাজে। ফোনে আকবর আলীকে পাওয়া গেল নাশতার টেবিলে। নাশতা খেতে খেতেই প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বললেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। জিজ্ঞাসা করা হলো নিশ্চয় আজকের (গতকাল) সকালটি অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে আলাদা! জবাবে, ‘না না। অন্য যেকোনো দিনের মতোই। ঘুম ভাঙল, অন্য দিনের মতোই খিদে লেগেছে। নাশতা করতে চলে এলাম। নাশতার টেবিলে বসেই আপনার সঙ্গে কথা বলছি। এখনো হাতে শিমের বিচি ধরা।’

সাক্ষাৎকারে অনেক গল্পের কথায় শুনিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। উঠে এসেছে দলের অনেক অজানা গল্প। নিজেকে কবে জাতীয় দলে দেখতে চান, তা-ও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। শুনিয়েছেন এই দল নিয়ে বড়দের বিশ্বকাপ সম্ভাবনার কথা।

পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকার দেখতে চোখ রাখুন আগামীকালের প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে।