নাপিতের সামনে ঘুমিয়ে টাক মাথা হলেন মরিনহো

নাপিতের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন মরিনহো। সংগৃহীত ছবি
নাপিতের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন মরিনহো। সংগৃহীত ছবি
>

কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হোসে মরিনহোর একটা ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল। সে ছবিতে মরিনহোকে টাক অবস্থায় দেখে অবাক হয়েছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। মরিনহো জানালেন সেই টাক মাথার রহস্য

মরিনহোকে কখনো চুলছাড়া দেখেছেন?

না, দেখেননি। এমনকি টাক হওয়ার জন্য ‘চিরশত্রু’ পেপ গার্দিওলাকে সময়-সময় খোঁচা মারতেও ভোলেন না তিনি। বছর পাঁচেক আগের কথাই ধরুন। গার্দিওলাকে উদ্দেশ করে মরিনহো বলেছিলেন, ‘আপনি যে কাজ করেন, সেটা যদি আপনি আনন্দ নিয়ে করেন, তাহলে অবশ্যই আপনার চুল পড়ে যাবে না। গার্দিওলার টাক আছে। অর্থাৎ সে ফুটবল ভালোবাসে না।’

পাঁচ বছর পর সেই চিরশত্রুর দেখানো পথই অনুসরণ করলেন মরিনহো। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ছবিতে দেখা গেল, টাক হয়েছেন মরিনহো। যে লোকের টাক হওয়া নিয়ে এত সমস্যা ছিল, সে লোক শেষমেশ টাক কেন হলেন? সবার মনে ছিল প্রশ্ন। সে প্রশ্নের জবাবই দিয়েছেন মরিনহো। জানালেন, সেদিন নাপিতের সেলুনে ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন!

‘না, মানে আমি যে চুল ছোট করে কাটতে পছন্দ করি না তা নয়। শীতের সময় ঠান্ডা আবহাওয়াকে ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য চুল ছোট ছোট করে কাটি। কিন্তু এবার ঘটনাটা তেমন ছিল না। সেদিন নাপিতের দোকানে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আমি,’ মরিনহোর স্বীকারোক্তি।

যে নাপিতের কাছে চুল কাটেন, সে নাপিত সেদিন ছিলেন না। ছিলেন তাঁর ভাই। কিন্তু তাঁদের চেহারা এতটাই কাছাকাছি, মরিনহোর পার্থক্যটা ধরতে পারেননি, ‘একটা তুর্কি ছেলের কাছে চুল কাটাই আমি সব সময়। সেদিন ওকে দেখে মনে হচ্ছিল, কী জানি একটা মিলছে না। যা–ই হোক, আমি ভেবেছিলাম আমার নাপিতই আছে দোকানে। কিন্তু পরে বুঝলাম যে না, ওটা ওর ভাই ছিল।’

এরপর আস্তে আস্তে মরিনহো জানালেন তাঁর ঘুমিয়ে পড়ার কাহিনি, ‘ওর চেয়ারে বসলাম। বসে বললাম সব সময় যে কাটটা দাও সেটাই দিয়ো। ও বুঝতে পারেনি। বলল, “পুরো মাথায়?” আমি বললাম, হ্যাঁ। এরপরেই ঘুমিয়ে গেলাম। পরে উঠে দেখলাম ও চুলের যে অবস্থা করেছে, সে অবস্থায় থাকা সম্ভব না। তারপর ওকে বললাম টাক করে দিতে। আশা করি, কয়েক দিনের মাথায় চুল গজিয়ে যাবে আবার।’

পরে সেই নাপিতের দোকানে টাক মাথায় ছবিও তুলেছেন মরিনহো!