টি-টোয়েন্টি আর খেলতে চান না ওয়ার্নার

অ্যালান বোর্ডার পদক পাওয়ার পর ডেভিড ওয়ার্নার। ছবি : ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
অ্যালান বোর্ডার পদক পাওয়ার পর ডেভিড ওয়ার্নার। ছবি : ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
>

আধুনিক যুগ টি-টোয়েন্টির। সারা বছর ধরে চলতে থাকা বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আধিক্যে টেস্ট বা ওয়ানডে দর্শকদের কাছে একটু হলেও রং হারিয়েছে যেন। কিন্তু অনেক ক্রিকেটারের কাছে এখনো টেস্ট ক্রিকেটই সেরা ফরম্যাট। আর এই টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন ডেভিড ওয়ার্নার

অথচ ডেভিড ওয়ার্নারকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিজ্ঞাপনই বলা হয়ে থাকে।

মারকাটারি ব্যাটিংয়ের কারণে ১১ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে সর্বপ্রথম এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সে টি-টোয়েন্টি থেকেই সরে যেতে চাইছেন তিনি! অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অ্যালান বোর্ডার পদকে’ ভূষিত হওয়ার পরপরই এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্নার নিজের এ ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

যদিও অস্ট্রেলিয়া এখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেনি, কিন্তু ওয়ার্নার টি-টোয়েন্টি আর খেলতেই চান না। তা ছাড়া নিজের পরিবারকে সময় দেওয়ার ব্যাপারটি আছে, ‘টি-টোয়েন্টি থেকে আমি অবসর নিতে চাই। আগে অবশ্য আমাদের ক্রীড়া সূচির কী অবস্থা, সেটা দেখতে হবে। তিনটি ফরম্যাটে খেলে যাওয়া আমার পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার তিন সন্তান। আমার স্ত্রীই ওদের দেখাশোনা করে। ক্রিকেটের জন্য আমার পক্ষে সব সময়ে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানো এখন আর সম্ভব হয়ে উঠছে না। যদি একটা ফরম্যাট থেকে আমাকে সরে দাঁড়াতেই হয়, তাহলে আমি কয়েক বছরের মধ্যে টি টোয়েন্টি ছাড়ার কথাই ভাবব। এমনিতেও বিগ ব্যাশে কোনো দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হইনি। নিজের মন ও শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য এই সময়টাকেই বেছে নিয়েছি।’

তবে যাঁরা টানা তিন ফরম্যাটেই খেলে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রশংসাই করেছেন ওয়ার্নার , ‘তিন ফরম্যাটে খেলে যাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওদের প্রতি শুভকামনা, যারা তিন ফরম্যাটেই খেলে যাচ্ছে। আপনি দেখুন বীরেন্দর শেবাগ বা এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো খেলোয়াড়েরা, যারা বছরের পর বছরে তিন ফরম্যাটে খেলে গেছে, তারা জানে ব্যাপারটা কত চ্যালেঞ্জিং।’

তিন ফরম্যাটে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে পরিবারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেননি ওয়ার্নার, যেখানে ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ঝড়ঝাপটা বয়ে গিয়েছে তাঁর, ‘দেখুন, অনেক কঠিন সময় পার করে আসতে হয়েছে। আমার স্ত্রীর দুবার গর্ভপাত হয়েছে। ক্রিকেটের বাইরেও আমার জীবনে অনেক কিছুই ঘটেছে, যেগুলো আমাকে সামাল দিতে হয়েছে। সেগুলো আমি করতে পেরেছি।’