ছেলের আচরণে খাওয়া বন্ধ করেছেন ভারতীয় যুব ক্রিকেটারের মা

যুব বিশ্বকাপ ফাইনালে মারমুখী রবি বিষ্ণয়। ছবি: বিসিআইসির টুইটার পেজ
যুব বিশ্বকাপ ফাইনালে মারমুখী রবি বিষ্ণয়। ছবি: বিসিআইসির টুইটার পেজ
>অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ভারতের লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণয়। শাস্তিও পেয়েছেন তিনি। তবে রবির এমন আচরণে অবাক তার বাবা-মা ও কোচ

মনে রাখার মতো যুব বিশ্বকাপ কাটল রবি বিষ্ণয়ের। ১৭ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ফাইনালে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতকে ফিরিয়েছেন ম্যাচে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ে জিতেছে বাংলাদেশই। এর বাইরেও ফাইনালটা অন্য একটি কারণে মনে থাকবে বিষ্ণয়ের। অক্রিকেটীয় আচরণের জন্য। খেলা শেষে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে জড়িয়েছেন হাতাহাতিতে। বোলিংয়ের সময় কথা বলেছেন বাজে ভাষায়। সে জন্য শাস্তিও হয়েছে। তবে বিষ্ণয়ের এমন আচরণে সবচেয়ে অবাক হয়েছেন তার বাবা—মাঞ্জিলাল বিষ্ণয়। তার দাবি, পরিবারের সব সন্তানের মধ্যে রবি-ই সবচেয়ে শান্ত-শিষ্ট!

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল গড়িয়েছে রোববার। পরদিন সকাল থেকে কাঁদছেন রবির বাবা-মা, এমন খবরই জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘মিড-ডে।’ তাঁদের ১৯ বছর বয়সী ছেলে ভুল কারণে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হওয়ায় সোমবার থেকে ভুগছে পরিবারটি। হাতাহাতি ও বাজে আচরণের জন্য যে পাঁচ খেলোয়াড় (তিনজন বাংলাদেশের, দুজন ভারতের) শাস্তি পেয়েছেন বিষ্ণয় তাদের একজন।

রবির বাবা মাঞ্জিলাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বুঝতে পারছি না আমার ছেলের কী হয়েছে! আমার সন্তানদের মধ্যে রবি সবচেয়ে শান্ত-শিষ্টদের একজন। কিন্তু এ ঘটনায় কাল থেকে আমার স্ত্রী কিছু খায়নি।’ রবির বাবা যোধপুরে একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ম্যাচের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে তিনি ছেলের ব্যাখ্যা শুনেছেন। এ নিয়ে মাঞ্জিলালের ভাষ্য, ‘তার কাছে ঘটনার ক্রমিক ব্যাখ্যা শুনেছি। সে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সতীর্থদের বাঁচাতে গিয়ে, যখন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা তাদের ওপর আক্রমণ করে।’

রবির শৈশবের কোচ প্রদ্যোত সিং-ও বেশ অবাক। শিষ্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রদ্যোত বলেন, ‘শুনেছি বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা বাজে ভাষায় কথা বলেছে। তাদের এক খেলোয়াড় দিব্যাংশু সাক্সেনাকে বলও ছুড়ে মেরেছে। আর ভারতের প্রতিটি উইকেট পতনে ওরা যেভাবে উল্লাস করেছে সেটি অগ্রহণযোগ্য। ভারতের খেলোয়াড়েরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কিন্তু রবিকে আমি ১০ বছর ধরে চিনি। ভীষণ শান্ত ছেলে।’ একটি উদাহরণও দেন রবির কোচ, ‘একবার বেশ রাত করে একটি উৎসবে যাওয়ার জন্য তাকে বকেছিলাম। এরপর থেকে আমাকে না বলে কোথাও যায়নি। (যুব বিশ্বকাপ ফাইনালের) এবারকার ঘটনা নিয়ে সে আমাকে কথা দিয়েছে, এরপর আর কখনো এমন কিছু ঘটবে না।’