খুঁজে পাওয়া গেল না সেই আবাহনীকে

এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো ঢাকা আবাহনীর। ছবি: প্রথম আলো
এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো ঢাকা আবাহনীর। ছবি: প্রথম আলো
>এএফসি কাপে আজ মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বিদায় নিল ঢাকা আবাহনী

গতবারের সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি ঢাকা আবাহনী। আজ মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বিদায় নিয়েছে এএফসি কাপ থেকে। ঢাকায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি হোম ম্যাচে মাজিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করায় ফিরতি ম্যাচে আজ আবাহনীকে জিততেই হতো। ড্র করলেও হতো, তবে সেটি বেশ কঠিন ; ৩-৩ গোলের ড্র। কিন্তু এর কোনোটাই হয়নি। হতাশা নিয়ে শেষ হলো আবাহনীর এএফসি কাপ অভিযান।

গত বছর এ টুর্নামেন্টে আবাহনী খেলে সরাসরি খেলে গ্রুপ স্তরে। এবার গ্রুপে ঢুকতে পেরোতে হতো দুটি বাধা। মাজিয়ার বাধা পেরোলে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু বা ভুটানের পারোর সঙ্গে খেলা পড়ত। কিন্তু প্লে অফের আগের রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো তাদের। আজ মালের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অবশ্য জেতার মতো খেলতে পারেনি আবাহনী। খেলা দেখে মনে হয়নি জেতার জন্য মরিয়া হয়ে নেমেছে। তবে অন্তত দুটি ভালো সুযোগ এসেছিল গোল করার। সহজ সুযোগ পেয়েও সানডে-রুবেল মিয়া পারেননি জালে বল পাঠাতে। মাজিয়া চেয়েছে গোলশূন্য ড্র নিয়েই পরের রাউন্ডে উঠতে। আবাহনী জ্বলে না ওঠায় তাদের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে।

গত বছর প্রথমবারের মতো গ্রুপ পেরিয়ে আবাহনী আন্ত আঞ্চলিক সেমিফাইনালে খেলে। দারুণ ফুটবল খেলা সেই আবাহনীকে এবার খুঁজে পাওয়া যায়নি সেভাবে। ঢাকায় মাজিয়ার সঙ্গে ২-২ ড্রয়ের আবাহনী কোচ মারিও লেমোস তাঁর ফুটবলারদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘ওদের মধ্যে জয়ের কোনো চেষ্টাই দেখলাম না।’ আজ ড্রয়ের পর তাঁর কথা, ‘এই স্তরে জেতার জন্য যে খিদেটা দরকার সেটা আমার খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল না।’ উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টিফাইভকে ৪-৩ গোলে হারানো সেই আবাহনী এবার হয়ে থাকল নিজেদের ছায়া।

ম্যাচের শেষ মিনিটে মাজিয়ার খেলোয়াড় ইশাম ইব্রাহিম ধাক্কা মারেন আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে। এরপর সোহেলকে ধাক্কা মারেন মাজিয়ার সহকারী কোচ। এ নিয়ে দুই পক্ষে লেগে যায় হাতাহাতি। আবাহনীর সহকারী কোচ নজরুল ইসলাম তাদের এশিয়ান কোটার খেলোয়াড় এডগারকে হাত মেলাতে বলেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে। কিন্তু এডগার হাত মেলাননি। ম্যাচ শেষে বেশ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা গেছে মাঠে।