রোমান সানাদের নিয়ে টোকিও অলিম্পিকের গান

জাপানি দুই সংগীতশিল্পী মা ওয়াতানাবে ও সানসুকি মিজুতানির সঙ্গে বাংলাদেশের আর্চার রোমান সানা। ছবি: মা ওয়াতানাবের ফেসবুক পেজ
জাপানি দুই সংগীতশিল্পী মা ওয়াতানাবে ও সানসুকি মিজুতানির সঙ্গে বাংলাদেশের আর্চার রোমান সানা। ছবি: মা ওয়াতানাবের ফেসবুক পেজ
>আগামী জুলাইয়ে টোকিওতে বসছে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক। টোকিও অলিম্পিকের প্রচারণায় অংশ নিলেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা।

মা ওয়াতানাবে ও সানসুকি মিজুতানি জাপানি শিল্পী। কিন্তু জাপানি ভাষায় নয়, স্পষ্ট বাংলায় গাইলেন, ‘চলো ঘুরে বেড়াই ডানা মেলে...। ওই দূর আকাশে, বিশাল বিশ্বের মাঝে।’
‘আকাশে’ শিরোনামের এই গানের সঙ্গেই তৈরি করা হয়েছে চমৎকার একটি মিউজিক ভিডিও। ৪ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের এই মিউজিক ভিডিওতে কোনো পেশাদার মডেল অভিনয় করেননি। এদের সবাই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ—তিরন্দাজ রোমান সানা, ইতি খাতুন, অসীম কুমার, সাঁতারু মাহফিজুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, অ্যাথলেট আল আমিন,শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি, শাকিল আহমেদ, সৈয়দা আতকিয়া হাসান দিশা।
গত জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্স, টঙ্গী আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম, গুলশান শুটিং কমপ্লেক্স, বিকেএসপিসহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এই গানের দৃশ্যায়ন করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়ে জাপানের টোকিও শহরে বসছে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আসর। এই অলিম্পিককে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) বিভিন্ন দেশে প্রচারণা চালানো শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই জাপানি শিল্পী এসেছেন বাংলাদেশে। বাংলা ভাষায় তারা নির্মাণ করেছেন এই গানটি। এটি মূলত আগামী অলিম্পিক ও প্যারাঅলিম্পিকের প্রচারণা-সংগীত।
এ বছর টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন দেশসেরা তিরন্দাজ রোমান সানা। এমন একটি ভিডিওচিত্রের অংশ হতে পেরে গর্বিত রোমান, ‘আমাকে যখন দুই জাপানি শিল্পী এসে প্রস্তাবটা দেন, আমি এক কথাতেই রাজি হয়ে যাই। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরার এটা অন্যতম একটা সুযোগ। আমি অলিম্পিকে যাওয়ার আগেই অলিম্পিকের প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।’
গত এসএ গেমসে লং জাম্পে ব্রোঞ্জ জেতেন আল আমিন। এই মিউজিক ভিডিওতে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত নৌবাহিনীর অ্যাথলেট, ‘প্রথমবার এমন একটি ভিডিওচিত্রে অংশ নিয়ে খুব ভালো লেগেছে। এবার ফেডারেশন যদি আমাকে ওয়াইল্ড কার্ড দিয়ে অলিম্পিকে পাঠায় তাহলে আরও খুশি হব।’
বাংলাদেশকে নিয়ে এমন একটি ভিডিওচিত্র বানানোর অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল দুই জাপানি শিল্পীর। মা ওয়াতানাবে বলছিলেন, ‘আমরা ভালোবাসা দিবসে কাল এই ভিডিওটা ইউটিউবে মুক্তি দিয়েছি। এই অ্যাথলেটদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুব খুশি আমরা। সবাই আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন। মূলত অলিম্পিকের প্রচারণার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য এই ভিডিওচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে।’