নির্বাচক হতে আবেদন, বিসিসিআই খুঁজে পাচ্ছে না

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার লক্ষ্মণ শিব রামাকৃষ্ণান। ছবি: টুইটার
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার লক্ষ্মণ শিব রামাকৃষ্ণান। ছবি: টুইটার
>

ভারতীয় ক্রিকেট দলের জ্যেষ্ঠ জাতীয় নির্বাচক হওয়ার পদে আবেদন করেছিলেন লক্ষ্মণ শিব রাম কৃষ্ণান। কিন্তু তাঁর মেইল বিসিসিআইয়ের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

ভারতীয় ক্রিকেট দলের জ্যেষ্ঠ জাতীয় নির্বাচক হওয়ার পদে আবেদন করেছিলেন লক্ষ্মণ শিব রাম কৃষ্ণান। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অফিশিয়াল মেইল অ্যাকাউন্টে ভারতের এই সাবেক তারকার আবেদন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!

সব বিধিমালা মেনে সময়সীমা শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগেই নিজের জীবন-বৃত্তান্ত মেইল করেছিলেন ভারতের হয়ে ৯ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা সাবেক এ লেগ স্পিনার। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শিব রাম কৃষ্ণানের মেইল বিসিসিআইয়ের অফিশিয়াল মেইল অ্যাকাউন্টে ‘খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র সংবাদমাধ্যমকে কয়েকরকম তথ্য জানিয়েছেন। একপক্ষের দাবি ‘মেইলটা তারা পাননি।’ আরেক পক্ষ বলছে ‘ওটা মুছে ফেলা হয়েছে’। আবার কেউ বলছেন ‘ওটা স্পাম হিসেবে রিপোর্ট হয়েছে।’ শিব রাম কৃষ্ণানের সঙ্গে যাঁরা এ নিয়ে কথা বলেছেন তাঁদের দাবি, ‘বেঁধে দেওয়া সময়সীমার দুই দিন আগে আবেদনটি করা হয়েছিল। বিসিসিআইয়ের অফিশিয়াল অনলাইনে এ নিয়ে বিধিমালা উল্লেখ করা হয়েছিল। শিব রাম কৃষ্ণের মেইল পাওয়া যাবে না কিংবা অকার্যকর হবে, তা হতেই পারে না।’

সংবাদমাধ্যমকে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ‘শিব রাম কৃষ্ণ মেইল করেছে ২২ জানুয়ারি। আবেদনের শেষ সময়সীমা ছিল ২৪ জানুয়ারি। শুধু আবেদনকারীদের মেইল পেতেই নতুন এ মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। ২১টি আবেদন পাওয়া গেছে। এর অর্থ হলো ইনবক্সে ২১টি মেইল আছে। তাহলে শুধু একটা মেইল কেন পাওয়া যাচ্ছে না? বিশেষ করে যখন একজন আবেদনকারী অফিশিয়াল লিংকে ক্লিক করে মেইল করছে। এ ছাড়া শুধু একটা মেইল-ই কেন স্পাম হবে? একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশে বানানো নতুন মেইল আইডি কতগুলো স্পাম মেইল পেতে পারে?’

বিসিসিআই এ নিয়ে তাদের প্রযুক্তি দলের সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ ইচ্ছা করে মুছে ফেলা কিংবা স্পাম হওয়ার আগে মেইলটি অ্যাকাউন্টে এসেছে কি না তা বোঝার চেষ্টা করছে বিসিসিআই। বোর্ড সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের মতামত, ‘এটা পরিষ্কার অব্যবস্থাপনা যার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। শিব রাম কৃষ্ণানকে ডাকতে হবে। তার মেইল অ্যাকাউন্টের সেন্ট ফোল্ডার দেখতে হবে। যদি সে ২২ জানুয়ারি নির্দিষ্ট সময়ে মেইল পাঠিয়ে থাকে তাহলে মিথ্যা বলবে কেন?’

গত মাসে বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাচক পদে মেয়াদ শেষ হয়েছে এমএসকে প্রসাদের। তাঁর জায়গায় শিব রাম কৃষ্ণানের নাম জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছিল।