যুক্তরাষ্ট্রে গলফ খেলে সাফল্য বাংলাদেশি তরুণের
সাধারণত বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু আফনান মাহমুদ চৌধুরী এ দিক দিয়ে ব্যতিক্রম। গলফার হিসেবে শতভাগ বৃত্তি নিয়ে দুই বছর আগে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি গলফ খেলাটাও চালিয়ে যাচ্ছেন। গত দুই বছরে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু আজ এসেছে সর্বোচ্চ সাফল্য।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গলফ টুর্নামেন্টে ৭৭ জন গলফারের মধ্যে হয়েছেন চতুর্থ। দুই রাউন্ডের খেলায় পারের চেয়ে এক শট বেশি খেলেছেন আফনান। এটি যুক্তরাষ্ট্রের এনসিসি (ন্যাশনাল কলেজ কারিকুলাম লিগ) পর্যায়ের প্রথম বিভাগের টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে এশিয়া থেকে অংশ নিয়েছেন আফনানসহ মাত্র তিনজন গলফার। এদের মধ্যে বাকি দুজন ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের। উপমহাদেশের গলফ কোর্সটা সাধারণত ৬৫০০ গজের হয়ে থাকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই কোর্স ৮০০০ গজের। সাধারণত ১৮ হোলের এক রাউন্ড হলেও সেখানে খেলতে হয়েছে ২১ হোলের।
আফনান মাহমুদ প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলেন ২০১৩ সালে, চীনের এশিয়ান যুব গেমসে। এরপর ২০১৫ সালে ঢাকায় হওয়া এশিয়ান ট্যুরে খেলেছেন। যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ জুনিয়র ওপেন খেলেছেন ২০১৬ সালে। চীনে ২০১৬ সালে ফালদো সিরিজি অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালেয় বৃত্তি নিয়ে খেলতে যান।
আফনানের রক্তে গলফ। বাবা মাহমুদুর রহমান চৌধুরী একজন সাবেক গলফার। বর্তমানে বিপিজিএর (বাংলাদেশ পেশাদার গলফ অ্যাসোসিয়েশন) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাহমুদুর ছেলেকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত, ‘মাহির (আফনান) এই সাফল্যে আমি গর্বিত। ও ছোটবেলা থেকেই গলফের টানে কুর্মিটোলা কোর্সে ছুটে আসত। সিদ্দিকুর রহমানের কাছে একসময় নিয়মিত খেলা শিখেছে। আমি চাই সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা যেন ধরে রাখে। ভবিষ্যতে সে যেন যুক্তরাষ্ট্রের পিজিএ ট্যুরে খেলার সুযোগ পায়, সেটাই আমার চাওয়া।’