হাসানের সঙ্গে অপেক্ষা ফুরাল ইয়াসিরেরও

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের অপেক্ষায় দুই তরুণ হাসান মাহমুদ ও ইয়াসির আলী। ফাইল ছবি
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের অপেক্ষায় দুই তরুণ হাসান মাহমুদ ও ইয়াসির আলী। ফাইল ছবি

ইয়াসির আলী জাতীয় দলের আশপাশে ছিলেন এক বছর ধরেই। গত বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সফরের দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু মূল একাদশে খেলার সুযোগ হয়নি। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে নিয়মিত খেললেও অপেক্ষায় ছিলেন আরেকবার জাতীয় দলের ডাক পাওয়ার। তত দিনে ইয়াসিরের ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্মেও ভাটা নামে। নির্বাচকদের ছোট তালিকা থেকেও হারিয়ে যেতে থাকেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

এবারের বিসিএল দিয়ে আবার এসেছেন আলোচনায়। সর্বশেষ উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ১৬৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর দুয়ার খুলে যায় বাংলাদেশ টেস্ট দলের। ডাক পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইয়াসির, ‘টেস্ট দলে ডাক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। খুশি তো অবশ্যই লাগছে।’

অভিষেকটা টেস্টেই হোক, ইয়াসির এমন স্বপ্ন দেখেছেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই, ‘চার দিনের ম্যাচে সব সময়ই উপভোগ করেছি। আমি সব সময় বলতাম আমার জাতীয় দলের অভিষেক যেন টেস্ট দিয়েই হয়।’

জাতীয় দলে অভিষেকের স্বপ্নটা ফিকে হয়ে যাচ্ছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে বাজে ফর্মের কারণে। দলে ফেরার একটু বেশিই চেষ্টা করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়। কাল প্রথম আলোকে ইয়াসির নিজেই বললেন, ‘সব ঠিক করার জন্য বেশি চেষ্টা করেছিলাম। সেটাই হচ্ছিল না। কেন হচ্ছিল না, এই অপ্রাপ্তি চলে এসেছিল মনের মধ্যে।’ এবারের বিসিএলে জাতীয় দল নিয়ে না ভেবেই খেলেছেন, হয়েছেন সফল, ‘বিসিএলের আগে এবার তেমন কিছু চিন্তা করিনি। বেশ খোলা মনে খেলেছি এবার।’

ইয়াসিরের মতো বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি ২০ বছর বয়সী পেসার হাসান মাহমুদকে। বিপিএলে দারুণ বোলিং করে সবার নজরে আসেন। তবে ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই চোটের সঙ্গে লড়াই শুরু হাসানের। একের পর এক চোট মাঠের বাইরে রাখে সম্ভাবনাময় এই পেসারকে। গত ইমার্জিং এশিয়া কাপ, এসএ গেমসে নিয়মিত খেলার পর নির্বাচকদের সুনজরে আসেন। এরপর বিপিএল দিয়ে জাতীয় দলের কোচদের পছন্দের ছোট্ট তালিকায় চলে আসেন। পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়ার পর এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলেও জায়গা করে নিয়েছেন হাসান। নির্বাচকেরা বলছেন হাসানের গতিই তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করছে।

হাসানও বিশ্বাস করেন, গতিই তাঁর মূল শক্তি। কাল প্রথম আলোকে বলছিলেন, ‘গতি ধরে রাখা আসল। এই দায়িত্বটা নিজের ওপর। নিজের ফিটনেস ধরে রাখা, বিশ্রাম নেওয়া, এসবের ওপর গতি নির্ভর করে। গত এক বছর এসব ঠিকমতো করতে পেরেছি বলেই আজ আমি এখানে।’ টি-টোয়েন্টি দিয়ে আগে জাতীয় দলে ডাক পেলেও এবার টেস্ট দলে ডাক পাওয়াটা একটু বেশিই আনন্দের হাসানের কাছে, ‘টেস্টের সম্মান তো আলাদা। টেস্ট দলে ডাক পেয়েছি, একটু বেশি খুশি লাগছে।’