স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশের মাছে মজেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

স্ত্রীর সঙ্গে মাইলসন। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ছবি: শামসুল হক
স্ত্রীর সঙ্গে মাইলসন। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ছবি: শামসুল হক

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মানেই গ্যালারিতে তরুণীদের সাম্বার ছন্দ। বল নিয়ে প্রতিটি মুভে জোরালো উচ্ছ্বাস। ঢাকার ফুটবলে এমন চলন দেখা যায় না। তবে গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ শেষে এক ব্রাজিলিয়ান তরুণী দৃষ্টি করে নিলেন মাঠে উপস্থিত থাকা মানুষদের।

তিনি আবাহনী লিমিটেডের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মাইলসনের স্ত্রী এনি। স্বামীর সঙ্গে পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এর আগেও এসেছেন। কিন্তু গতকালই প্রথম দেখা গেল ম্যাচ শেষে অ্যাথলেটিকস ট্রাকে এসে দাঁড়িয়ে স্বামী মাইলসনকে অভিনন্দন জানাতে। গতকাল পুলিশ ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে শুভ সূচনা করেছে আবাহনী।

স্ত্রী এনি প্রতি ম্যাচেই তাঁকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য মাঠে আসেন বলে জানালেন মাইলসন, ‘সমর্থন দেওয়ার জন্য সে সব সময় আমার সঙ্গেই থাকে। সে আমার খেলা দেখতে পছন্দ করে। তাই ওর মাঠে আসা।’

বাংলাদেশে আসার আগে মাইলসন বেশ কয়েক মৌসুম ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি আইএসএলে খেলেছেন । এনিকেও মাইলসনের সঙ্গে ঘুরতে হয়েছে এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশ। প্রতিবেশী দুই দেশের ফুটবল মাঠের পার্থক্যটাও ইতিমধ্যে চোখে পড়েছে এনির। সেটি মাইলসনকে জানিয়েছেন, ‘ও আমাকে বলে, “দুই দেশের মানুষ প্রায় একই রকম । কিন্তু ভারতে অনেক বেশি দর্শক মাঠে আসে। মেয়েরাও খুব উৎসাহ নিয়ে খেলা দেখেন। এখানে সেটা দেখা যায় না।”’

ফুটবলে মজতে না পারলেও বাংলাদেশের মাছে ঠিকই মজে গেছেন ব্রাজিলিয়ান দম্পতি। সপ্তাহে কয়েক দিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে মাছ না খেলে তাদের নাকি ভালোই লাগে না! মাইলসন জানালেন, ‘ব্রাজিলের চেয়ে বাংলাদেশ পুরোপুরি ভিন্ন। এখানে অনেক বেশি গাড়ি , যানজট । তাই বাইরে বের হওয়া হয় না। তবে মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে খেতে যাই। এখানকার মাছ খুব ভালো লাগে। সপ্তাহে কয়েক দিন আমাদের রেস্টুরেন্টে গিয়ে মাছ খেতেই হবে।’

মাইলসন-এনি কি তবে মাছে-ভাতে ব্রাজিলিয়ান!