উইকেটে শিকড় গজিয়ে ম্যাচ বাঁচালেন শফিউল

ম্যাচ বাঁচাতে ঘাম ঝড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের। ছবি: বিসিবি
ম্যাচ বাঁচাতে ঘাম ঝড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের। ছবি: বিসিবি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দলে ডাক পেয়েছেন ইয়াসির আলী। বিসিএল জোড়া সেঞ্চুরি করেই সেটি উদ্‌যাপন করলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৬৫। আজ দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৭৮ বলে তাঁর ব্যাট থেকে এল ১১০। উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ২১১ রানের লক্ষ্যে নামা দলকে সহজ জয় এনে দিয়েছে ইয়াসিরের এই দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি করেছেন ৭০। প্রায় ওয়ানডে ধাঁচের ব্যাটিং মাত্র ৩৫ ওভারেই ২১১ রানের কঠিন লক্ষ্যকে সহজ বানিয়ে দিয়েছে।

বিসিএলে অবশ্য আজ নাটক দেখেছে অন্য ম্যাচ। মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে চালাকি করে মাত্র ১১৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। আবদুর রাজ্জাকদের সে সিদ্ধান্তের ফল আজ ভয়ংকর হয়ে উঠতে যাচ্ছিল। মধ্যাঞ্চলকে বোনাস পয়েন্ট পাওয়া থেকে আটকাতে গিয়ে উল্টো ম্যাচ হারতে বসেছিল দক্ষিণাঞ্চল। ৫০৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। না হারলেই যেখানে ফাইনাল নিশ্চিত, সে দিকে ছোটার কোনো চেষ্টা ছিল না শামসুর রহমান-নাসুম আহমেদদের। ৪ উইকেটে ১৫৯ রানে দিন শুরু করা দলটি দিন পার করে দেওয়ার চেষ্টাতেই ছিল।

প্রথম সেশন কোনো ঝামেলা ছাড়াই পার করে দিয়েছেন শামসুর ও নাসুম। দলকে ২৯০ রানে নিয়ে ফিরে গেছেন শামসুর (১৩৩)। চা-বিরতির আগে নুরুল হাসানও ফিরে যাওয়ায় প্রথম জয়ের আশা দেখে মধ্যাঞ্চল। বিরতি থেকে ফিরেই বিদায় নিয়েছেন মেহেদী হাসান (৪)। শেষ ঘণ্টায় ৪ রানের মধ্যে নাসুম (৮৫) ও অধিনায়ক রাজ্জাক (৪) ফিরে গেলে জমে উঠে ম্যাচ। দিনের বাকি সময়ে শফিউল ইসলাম ও ফরহাদ রেজার জুটিটা ভাঙলেই ফাইনালে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে খেলত মধ্যাঞ্চলই।

এমন অবস্থায় ধৈর্যের সর্বোচ্চ পরীক্ষা দিয়েছেন শফিউল ও ফরহাদ। ৫৮ বলের জুটিতে ১৪ রান এসেছে। এর মাঝে মাত্র ১ রান শফিউলের। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই ১ রান করার পাশাপাশি ২৬টি বল খেলেও উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেননি শফিউল। অন্যদিকে ফরহাদ রেজাও ৯১ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন।