মেসিদের নিয়ে কুৎসা রটান বার্সা সভাপতি

এ সুসম্পর্ক কি তাহলে শুধুই ছবি? ছবি: ফাইল ছবি
এ সুসম্পর্ক কি তাহলে শুধুই ছবি? ছবি: ফাইল ছবি
>৯ কোটি ২১ লাখ টাকা খরচ করে মেসিদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে বার্সেলোনা! বোর্ড সভাপতির একক আধিপত্য বিস্তার নিশ্চিত করতেই ক্লাব কিংবদন্তিদের অপমান করা হতো টুইটার ও ফেসবুকে

ফুটবল জগতে প্রতিপক্ষের অভাব নেই। মাঠের প্রতিপক্ষ আছে। ছিদ্রান্বেষী সংবাদমাধ্যম আছে। চাইলে ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার কঠিন নিয়ম কানুনের গায়েও এ ট্যাগ দিয়ে দেওয়া যায়। এসবের বিরুদ্ধে ক্লাব ও খেলোয়াড় একে অপরের সম্বল। সেখানে কিনা বার্সেলোনা নিজেদের খেলোয়াড়দের বিপদে ফেলে দিচ্ছে। তাদের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় মেসির নামে কুৎসা রটাচ্ছে! বোর্ড সভাপতি নিজের স্বার্থে ক্লাবের কিংবদন্তিদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ক্লাবের কাজ হলো নিজেদের খেলোয়াড়দের যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা। এমনকি সমর্থকদের সাফাইও গায় ক্লাব। গতকাল মুসা মারেগা বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ায় প্রতিবাদ বানিয়েছে পর্তুগালের ক্লাব এফসি পোর্তো। অথচ আগের সপ্তাহেই প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে একইভাবে বর্ণবৈষম্যের শিকার বানিয়ে ফেলার পরও সমর্থকদের দোষ খুঁজে পায়নি পোর্তো। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিপক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে ক্লাব জুভেন্টাস। লিওনেল মেসি কর নিয়ে ঝামেলায় পড়ায় তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছিল বার্সেলোনা। আবার রিয়াল মাদ্রিদ সে কাজ না করায় খেপেছিলেন রোনালদো।

কাতালান সংবাদমাধ্যম কে থি জোগাসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বার্সেলোনা বোর্ড নাকি এক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করেছিলেন। আইথ্রি নামের সে প্রতিষ্ঠানের কাজ ছিল বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেউর ভাবমূর্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উজ্জ্বল করা। আর সে সঙ্গে যেসব বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে বার্তোমেউর বনে না, তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতো এই প্রতিষ্ঠান।

কে থি জোগাসের দাবি, ওই প্রতিষ্ঠান এক শর কাছাকাছি টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্লাব কিংবদন্তি মেসি, জাভি, জেরার্ড পিকে, পেপ গার্দিওলা, কার্লেস পুয়োলদের আক্রমণ করত। সাবেক সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ও কাতালান স্বাধীনতাকামী রাজনীতিবিদ কার্লেস পুইচডিমন্তের বিপক্ষেও নেমেছিল আইথ্রি।

আইথ্রির সৃষ্টি করা অ্যাকাউন্টগুলো মেসির বিরুদ্ধে চুক্তি নবায়ন না করার গুঞ্জন সৃষ্টি করত। পিকের সব ব্যবসায়িক বিষয়াদি নিয়েও আলোচনা করত এরা। ২০১৭ সালে শুরু হয় প্রোপাগান্ডা। একের পর এক মন্তব্য করে ও বিভিন্ন নেতিবাচক আলোচনা করে মেসিদের আক্রমণ করা হতো। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল বার্তেমেউর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা ও তাঁর সভাপতিত্ব নিশ্চিত করা। বার্সেলোনা স্বীকার করেছে, আইথ্রিকে তারা আসলেই নিয়োগ দিয়েছিল এবং এর বিনিময়ে ১০ লাখ ইউরোও পেয়েছে সে প্রতিষ্ঠান।

বার্সেলোনা অবশ্য মেসি-গার্দিওলাদের দিকে আক্রমণ করা অ্যাকাউন্টের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছে। কিন্তু আইথ্রির অর্থ পরিশোধ করার জন্য ছয়টি ভিন্ন চালানপত্র ব্যবহার করা সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে।