এই শাহাদাতই বিশ্বকাপে বোলিং করেননি

আজ বিকেএসপিতে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিলেন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার শাহদাত হোসেন। ছবি: বিসিবি
আজ বিকেএসপিতে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিলেন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার শাহদাত হোসেন। ছবি: বিসিবি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের বেশ কয়েকজন খেলছেন। তবে আজকের দিনটায় সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী দলের স্পিনার শাহাদত হোসেনই। বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনটা পুরোপুরি জিম্বাবুয়ের হতে দেননি তিনি। ৮ ওভার বোলিং করে ১৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তবে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে শেষ করেছে দিন।

যুব বিশ্বকাপে ব্যাটিংটা ভালোই করেছেন শাহাদাত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ম্যাচজয়ী ইনিংস। তবে একটা ম্যাচেও বোলিং করার সুযোগ হয়নি। আজ বিকেএসপিতে বল হাতে পেয়ে ঠিক সময়ই জ্বলে উঠলেন। দিনশেষে নিজেই দিয়েছেন বিশ্বকাপে বোলিং না করার ব্যাখ্যা, ‘বিশ্বকাপে আমাদের বোলিংয়ের অনেক বিকল্প ছিল। মূল বোলার ছাড়াও দুজন বাড়তি বোলার ছিল। ছয়জন বোলারের সবাই ভালো করেছে। কেউ যদি খারাপ করত, তাহলে হয়তো আমি আসতাম। কেউ খারাপ করেনি আমারও আসা হয়নি।’

আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলের প্রয়োজনেই তাঁকে আসতে হলো। এমন একটা সময় তিনি বল হাতে নিলেন, যখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের রীতিমতো ঘাম ঝরছে। বিকেএসপির ব্যাটিং উপযোগী উইকেটে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১০৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিল তারা। প্রিন্স মাসাভুরা ও কেভিন কাসুজা আধিপত্য গড়েছিলেন বিসিবি বোলারদের ওপর। মাসাভুরা ৭৭ বলে ৪৫ আর কাসুজা ১৩০ বলে করেন ৭০ রান। মাসাভুরাকে ফেরান আল–আমিন আর কাসুজা রানআউট হন। শাহাদাত বোলিংয়ে এসেই ফেরান অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনকে। রেজিস চাকাভা আর মুতুমবদজিকে আউট করে জিম্বাবুয়েকে বিপদে ফেলেন তিনি। তবে দিনের শেষে কার্ল মুম্বা ও আইন্সলে আইন্দেলেভু ভালো একটা জুটি গড়ে বিসিবি একাদশকে কিছুটা দুশ্চিন্তায় রেখেছেন। মুম্বা ৫৪ আর আইন্দেলেভু ২৪ রানে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে স্পিনাররাই ছিলেন সফল। আল–আমিন জুনিয়র আর শাহাদাত ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৫ উইকেট। পেসার শরিফুল ৪৫ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।

তবে শাহাদাত নিজে অবশ্য কৃতিত্ব দিতে চান পেসারদের। তাঁর মতে বিকেএসপির ব্যাটিং উইকেটে পেসাররা যা বল করেছেন সেটা খারাপ নয়, ‘ওরা কিন্তু পেসেও ভালো করেনি। দুই দিক দিয়েই তারা খারাপ খেলেছে। হয়তো আমরা স্পিনে বেশি উইকেট নিয়েছি বলে মনে হচ্ছে স্পিনে ওরা খারাপ। উইকেট কিন্তু ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই ছিল। পেসারদের সুবিধা ছিল অনেক কম। আমরা কেবল ডট বলে মনোযোগ দিয়েছিলাম। জানতাম রান না নিতে পারলে ওরা উইকেট দেবেই।’