তানজিদের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে জবাব

৮১ বলে ৮৯ রান নিয়ে চা বিরতিতে যান তানজিদ।
৮১ বলে ৮৯ রান নিয়ে চা বিরতিতে যান তানজিদ।
>বিশ্বকাপজয়ী দলের তানজিদের ব্যাটে এগোচ্ছে বিসিবি একাদশ।

মধ্যাহ্নবিতরিতে গল্পটা ছিল ভিন্ন। জিম্বাবুয়ের পেসারদের বাউন্সার–বৃষ্টির সামনে এলোমেলো অবস্থা বিসিবি একাদশ দলের। সাতে নেমে চিত্র পাল্টান বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তানজিদ হাসান। অধিনায়ক আল আমিনের সঙ্গে ১৫৮ রানের জুটি গড়ে চা–বিরতিতে যান তানজিদ। তাঁর ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুর ধস সামলে ঘুরে দাঁড়ায় বিসিবি একাদশ।

বয়সভিত্তিক দলে নিয়মিত ইনিংসের সূচনা করলেও তানজিদকে আজ নামতে হয়েছে সাতে। চাপের মুখে প্রতি–আক্রমণের পথ বেছে নেন এই তরুণ বাঁহাতি। জিম্বাবুয়ের পেসারদের মাথা তাক করা বোলিংয়ের জবাব দেন পুল শটে। ফুল লেংথের বলগুলোতে খেলেছেন আগ্রাসী ড্রাইভ ও ফ্লিক। লফটেড শটে ছক্কাও মেরেছেন। ফিফটি পূর্ণ করতে মাত্র মাত্র ৪০ বল খরচা করেন। এরপর এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। নামের পাশে ৮১ বলে ৮৯ রান নিয়ে চা–বিরতিতে যান এই তরুণ বাঁহাতি। চা–বিরতির পর এসে পেয়ে যান সেঞ্চুরিও। ৮৭ বলে তানজিদের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকেও ভালোই জবাব দিচ্ছে বিসিবি একাদশ। ৫৪ ওভার শেষে বিসিবির রান ২৫৬।

তামজিদকে সঙ্গ দিয়েছেন আল আমিন। ৮৫ রানে অপরাজিত আছেন তিনি, খেলেছেন সময়োপযোগী ইনিংস।

এর আগে ৭ উইকেটে ২৯১ রান করে প্রথম দিন ব্যাটিং অনুশীলন শেষে আজ সকালে বিসিবি একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের তিন পেসার কার্ল মুম্বা, চার্লটন শুমা ও আইনশলে এনলভু সকাল থেকেই বল করেছেন আক্রমণাত্মক লাইন-লেংথে। প্রত্যেকেই উইকেট পেয়েছেন। প্রথম ঘণ্টাতেই মোহাম্মদ নাঈম, মাহমুদুল হাসান ও শাহাদাত হোসেনের উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ। প্রথম সেশন শেষের আগে আরও ২ উইকেট হারায় তারা। পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন আকবর (১)। মারতে গিয়ে আউট হন পারভেজ (৩৪)। নাঈম ১১ রান করে পুল খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে আউট হন। তিনে নেমে মাহমুদুল পেছনে ক্যাচ দেন বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে। আলগা শট খেলে মিডঅফে ক্যাচ দেন শাহাদত।