স্মিথ-ওয়ার্নারদের সিরিশ কাগজ কিনতে বলল প্রোটিয়া-সমর্থকেরা

দর্শকের হাতে সেই ব্যানার। ছবি: সংগৃহীত
দর্শকের হাতে সেই ব্যানার। ছবি: সংগৃহীত
>

গতকাল টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের মধ্যেই স্টিভ স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নারকে সেই বল টেম্পারিংয়ের কথা মনে করিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকেরা

গত অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেরই কথা।

দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার কেপটাউন টেস্টে বল বিকৃতির ঘটনা ঘটে। টানা হারে দিশেহারা হয়ে বোলারদের হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দিতে ‘স্যান্ডপেপার’ বা সিরিশ কাগজ দিয়ে বল ঘষে বিকৃত করেছিলেন ব্যানক্রফট। এর পরিকল্পনা করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। আর অধিনায়ক হয়েও সেটা না দেখার ভান করেছিলেন স্টিভ স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির দায়টা তাই তিনজনের ঘাড়েই পড়েছিল। পরে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার সাজা ভোগ করেছেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৯ মাস নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ব্যানক্রফট।

এরপর অনেক সময় গড়িয়েছে, অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরে এসেছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। ফিরে এসে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন ওয়ার্নার। কিন্তু ক্যারিয়ারে যে কালিমা একবার লেগেছে, সেটা কি চাইলেই ভুলে থাকা যায়? যায় না। অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকেরা যেন প্রতিজ্ঞা করেছেন, স্মিথ আর ওয়ার্নারকে তাদের ‘পাপ’ এর কথা ভুলে থাকতে দেবেন না। কালকের কথাই ধরুন, চলতে থাকা অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি দেখতে এসে স্মিথ-ওয়ার্নারদের তাতিয়ে দেওয়া ব্যানার নিয়ে এসেছিলেন বেশ কিছু প্রোটিয়া–সমর্থক। সিরিশ কাগজ কেলেঙ্কারির কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আনা সেই ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বিক্রি হবে সিরিশ কাগজ! অতিরিক্ত রুক্ষতার জন্য দরকারি এই সিরিশ কাগজ পাওয়া যাচ্ছে পকেট সাইজেও!’

ইঙ্গিতটা পরিষ্কার, সেদিন বলের রুক্ষতা বাড়াতে স্মিথ-ওয়ার্নারের নির্দেশনাতেই পকেটে সিরিশ কাগজ নিয়ে এসেছিলেন ব্যানক্রফট। যদিও অস্ট্রেলিয়াকে এভাবে তাতিয়ে দিয়ে লাভ হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকদের। জোহানেসবার্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজের এই প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরে অ্যাশটন অ্যাগারের হ্যাটট্রিকে দাঁড়াতেই পারেননি ডি কক, ডু প্লেসিরা। ১০৭ রানে হেরে মাঠ ছেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।