ভারতের 'চাক দে ইন্ডিয়া' মেয়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতিত

সুরজ লতা দেবী। ছবি: ইটসরোটোম্যাক টুইটার পেজ
সুরজ লতা দেবী। ছবি: ইটসরোটোম্যাক টুইটার পেজ
>যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার ভারতের সাবেক হকি অধিনায়ক

সুরজ লতা দেবী। ভারতের সাবেক হকি অধিনায়ক। ২০০২ কমনওয়েলথ গেমসসহ তাঁর নেতৃত্বে তিনটি সোনার পদক জিতেছিল ভারতের নারী হকি দল। ওই ঘটনা ও সুরজ লতার সাফল্যকে অবলম্বন করে বলিউডে সফল সিনেমাও হয়েছে—‘চাক দে ইন্ডিয়া’। অর্জুন পুরস্কারজয়ী সুরজ লতা অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে। যৌতুকের দাবিতে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন তাঁর স্বামী।

সাবেক হকি খেলোয়াড় কে এস এইচ শান্তাকুমারকে ২০০৫ সালে বিয়ে করেন সুরজ লতা। এরপর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তাঁর ওপর অত্যাচার করে আসছিলেন শান্তাকুমার। সংবাদ সম্মেলনে সুরজ লতা বলেন, ‘দুই সন্তানের কথা ভেবে এসব প্রকাশ করিনি। কিন্তু মানুষের ধৈর্য ও সহ্যক্ষমতার একটা সীমা আছে।’ স্বামীর আচরণ একসময় বদলাবে ভেবেও মুখ বন্ধ রেখেছিলেন, জানান সুরজ লতা।

গত বছর পাঞ্জাবে থাকতে স্বামীর অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন ৩৯ বছর বয়সী মণিপুরের এই হকি তারকা। এরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি, ‘কোনোভাবে পালিয়ে ১৪ নভেম্বর ইম্ফলে চলে আসি। ইম্ফল হাসপাতালে শারীরিক চিকিৎসা নেওয়ার পর ১৬ নভেম্বর আমি পুলিশের কাছে গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগ করি।’

ইম্ফলের পূর্বাঞ্চলীয় পুলিশ স্টেশনে সুরজ লতা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ১০ জানুয়ারি আরও একটি অভিযোগ করেন। বিয়ের পর থেকে অত্যাচারের বিষয়ে। তার আগে নভেম্বরে পাঞ্জাবে নির্যাতিত হওয়া নিয়ে মণিপুর পুলিশ জানায়, ঘটনাটা যেহেতু ওখানকার, তাই স্থানীয় পুলিশকে এর তদন্ত করতে হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি সুলতানপুর লোধী পুলিশ স্টেশনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন সুরজ লতা।

শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি সুরজ লতাকে মানসিকভাবে কটাক্ষও করতেন শান্তাকুমার। অর্জুনা পুরস্কার জয় নিয়েও কটাক্ষ করতেন। ‘অনৈতিক আচরণ’-এর জন্য এ পুরস্কার জিততে পেরেছে বলেও কটাক্ষ করতেন শান্তাকুমার। সংবাদ সম্মেলনে সুরজ লতা বলেন, ‘বিয়ের দিন নিজের সব পদক ও খেলার ছবি দেখে আমার স্বামী শান্তাকুমার বলেছিল, এসব কী কাজে লাগবে?’