বাংলাদেশের পাল্লা ভারী করে আফসোস জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের

দারুণ সেঞ্চুরি করেও শেষ বেলায় আউট হয়ে গেছেন আরভিন। ছবি-শামসুল হক
দারুণ সেঞ্চুরি করেও শেষ বেলায় আউট হয়ে গেছেন আরভিন। ছবি-শামসুল হক
সুযোগ ছিল অপরাজিত থেকে দিন শেষ করার। কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের পর সেঞ্চুরি করে শেষ বেলায় এসে আউট হন। তাঁর বিদায়ে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।


কী দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটাই না করলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। এরপর শুধু একটাই লক্ষ্য ছিল, শেষবেলায় কোনো ঝুঁকি না নিয়ে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করা। নামের পাশে সেঞ্চুরি নিয়ে ব্যাট উঁচিয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে এগিয়ে যাবেন, এমন দৃশ্য হয়তো কল্পনা করছিলেন তিনি। সারা দিনের কঠোর পরিশ্রমের ফলটা এমনই মধুর হওয়ার কথা।

নাঈম হাসান আর সেটা হতে দিলেন কই! দিনের খেলা শেষ হওয়ার ১০ বল আগে সোজা বলটিতে ব্যাট লাগাতে পারলেন না। হয়তো ক্লান্ত পা দুটো আর চলছিল না। ফাঁক গলে প্যাডে আঘাত করে স্টাম্প খুঁজে নেয় নাঈমের বলটি। ৫ উইকেটে ২২৮ রানে দিন শেষ করার জায়গায় ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে।
দিন শেষে অধিনায়কের আফসোস, নিজে আউটটা না হলে হয়তো ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটা জিম্বাবুয়ের হতে পারত। ২২৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলার পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এসে তাই আরভিন বললেন, ‘আমি আউট হয়ে যাওয়ায় ওদের পাল্লা ভারী হয়ে গেল। কাল অপরাজিত থেকে আবার নামতে পারলে ভালো হতো।’
মিরপুরের উইকেট ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ। তবে এমন উইকেটে বাংলাদেশের বোলিংটা হয়েছে বেশ ভালো। জিম্বাবুয়েকে রান করার সুযোগ খুব বেশি দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। উইকেটে কিছু না থাকলেও লাইন-লেংথ দিয়ে সফরকারীদের আটকে দিয়েছিলেন। আরভিনের মুখে তাই বাংলাদেশের প্রশংসা, ‘উইকেট খুবই ভালো ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য। কিন্তু আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। রান কম করেছি। কিছু রান বেশি করা দরকার ছিল এবং কিছু উইকেট কম গেলে আমাদের জন্য আদর্শ হতো।’