দ্বিতীয় দিনটা হাসিমুখে শেষ করল বাংলাদেশ

ভালো ব্যাট করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল। ছবি: প্রথম আলো
ভালো ব্যাট করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল। ছবি: প্রথম আলো
>

৩ উইকেতে ২৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে স্বাগতিক দল

লম্বা সময়ে ধরে ব্যাটিংয়ের খ্যাতি রয়েছে সাইফ হাসানের। ঘরোয়া ক্রিকেটে এ কাজে ভালোই হাত পাকিয়েছেন তিনি। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না জাতীয় দলের এই ওপেনার। ১২ বল খেলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। দারুণ ব্যাট করে বড় ইনিংসের প্রতিশ্রুতি দেওয়া তামিম ইকবালও শেষ পর্যন্ত হতাশ করেছেন। ফিরেছেন ৪১ রান করে। নাজমুল হোসেন ৭১ রানে ফিরে গেলেও অধিনায়ক মুমিনুল দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেছেন দিনের বাকি সময়। ৩ উইকেটে ২৪০ রান করে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে ২৬৫ রানে অলআউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও সাইফ প্রথম ৩ ওভারে জমাট ব্যাট করায় মনে হচ্ছিল দুজনের জুটিটা টিকবে। কিন্তু ভুলটা করে বসেন সাইফ। অফ স্টাম্পের বাইরে টানা বল করে তাঁর ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ের পেসাররা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ভিক্টর নুয়াচির এমনই এক ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন সাইফ (৮)।

উইকেটে রয়েছেন এখন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ৭১ রান করে আউট হন নাজমুল। দ্বিতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। শুরুতে সেট হতে সময় নেন দুজনেই। এরপর বাড়িয়েছেন রানের গতি। ডোনাল্ড তিরিপানোকে চার মেরে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিং শুরু করেন নাজমুল। বাজে বল পেলে দুজনের কেউ ছাড়েননি। চার্লটন শুমার টানা দুই ওভারে মোট চারটি দর্শনীয় চার মারেন তামিম। যখন মনে হচ্ছিল বড় ইনিংস খেলার পথে আছেন, ঠিক তখনই আউট হন তামিম। তিরিপানোর বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৮৯ বলে তাঁর ৪১ রানের ইনিংসে তাই হতাশাই থাকবে বেশি।

ঠিক যেভাবে হতাশ করেছেন নাজমুলও। ১৩৯ বলে ৭১ রানে ব্যাট করার সময় হুট করেই তাঁর কী মনে হয়েছে কে জানে! শুমার উঠে আসা বলে খোঁচা মেরে আউট হয়ে বড় ইনিংস খেলা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেছেন নাজমুল। তুলনামূলক আক্রমণাত্মক মুমিনুল ১২০ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত আছেন। তাঁর সঙ্গী মুশফিকের সংগ্রহ ৩২।

তার আগ পর্যন্ত নাজমুল খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্টে এসে প্রথম ফিফটির দেখা পান এ বাঁহাতি। ১০৮ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে অধিনায়ক মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে চা–বিরতিতে যান নাজমুল। প্রথম সেশনে ৮ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেটে ২৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভারে শুধু তামিমের উইকেট হারিয়ে উঠেছে ৯৫ রান।