হারতে হারতে জামাল ভূঁইয়াদের নাটকীয় ড্র

শেষ বাঁশির আগে গোল করে সাইফের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস। ছবি-সংগ্রহীত
শেষ বাঁশির আগে গোল করে সাইফের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস। ছবি-সংগ্রহীত

কখনো ছেড়োনো হাল। কোচ দ্রাগো মামিচের এই মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে আজ হারতে বসা ম্যাচ ২–২ ড্র করে ফেলেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। সেটিও নিজেদের হোম ভেন্যু ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন স্টেডিয়ামে। ৬১ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথু এগিয়ে নেন চট্টগ্রাম আবাহনীকে। এরপর ব্রাজিলের নিক্সন করলেন ২-০। কিন্তু যোগ করা সময়ে ভোজবাজির মতো পাল্টে গেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের এই ম্যাচের ভাগ্য। ৯১ তম মিনিটে ২-১ করেছেন সাইফের রুয়ান্ডার ডিফেন্ডার এমেরি। ৯৬তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে সেই এমেরিই চট্টগ্রাম আবাহনীকে হতাশায় ঠেলে দেন। প্রায় হারতে বসা ম্যাচ ড্র করে জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা।

এমেরির সরাসরি ফ্রিকিক গোলেই প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জকে হারায় সাইফ স্পোর্টিং। মোহামেডানের বিপক্ষে দলটি জয় পায় তরুণ ডিফেন্ডার ইয়াছিনের গোলে। টানা দুই ম্যাচ জয়ী সাইফ আজ বিপদে পড়ে গিয়েছিল ৫৯ মিনিটে ফয়সাল হোসেন লাল কার্ড দেখায়। পরপরই গোল পেয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে ১০ জন নিয়ে খেলেও দুর্দান্ত এক ড্রয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেল তারুণ্য নির্ভর সাইফের।

আজ ড্র করায় বসুন্ধরা, আবাহনী, শেখ রাসেল, চট্টগ্রাম আবাহনীর পর বড় দলগুলোর মধ্যে এবার পয়েন্ট হারানোর মিছিলে এবার যোগ দিল সাইফও। প্রথম দুই ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে রহমতগঞ্জ ও মোহামেডানকে হারানো সাইফের পয়েন্ট হলো ৩ ম্যাচে ৭। চট্টগ্রাম আবাহনী ২-০ গোলে শেখ জামালকে হারিয়ে শুরু করেছিল এবারের লিগ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই আরামবাগের কাছে ১-২ গোলে হেরে যায় মারুফুল হকের দল। সেটিও চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নিজেদের হোম ভেন্যুতে। তবে আজ মহানাটকীয় ম্যাচে নিজের শহরে শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হয়েছে মারুফুল হককে।