সুযোগ পেয়েছিলেন বলেই আজ এমন নাজমুল

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ ব্যাট করেছেন নাজমুল। ছবি-শামসুল হক
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ ব্যাট করেছেন নাজমুল। ছবি-শামসুল হক
২০১৭ সালে অভিষেক। কিন্তু টেস্ট খেলা হয়নি নিয়মিত। দলের বাইরে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকা নাজমুলকে এই সময়টায় ছুড়ে ফেলে দেননি নির্বাচকেরা। যার প্রতিদান এখন দিচ্ছেন নাজমুল।


একটু অপ্রত্যাশিতভাবেই হয়েছিল তাঁর টেস্ট অভিষেক। ২০১৭ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে মুশফিকুর রহিমের চোটের কারণে টেস্ট দলে সুযোগ মেলে নাজমুল হাসানের। কিন্তু এক টেস্টের পরই বাদ পড়তে হয় এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। এরপর আবার সুযোগ পেলেন ২০১৮ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে। তারপর আবার বিরতি। এ বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সুযোগ পান। দুই ইনিংসেই দারুণ ব্যাটিং করেন পাকিস্তানে, কিন্তু ইনিংস বড় হচ্ছিল না। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের একমাত্র টেস্টে এসে প্রথম টেস্ট ফিফটির দেখা পান নাজমুল।

দলে আসা যাওয়ার সময়টায় নাজমুলকে একবারও ছুড়ে ফেলেনি বিসিবি। জাতীয় দলে না থাকলেও ছিলেন হাই পারফরম্যান্স কিংবা বাংলাদেশ ‘এ’ দলে। আর ঘরোয়া ক্রিকেট তো আছেই।

আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭১ রানের ইনিংস খেলার পর নাজমুল বললেন, ‘লম্বা সময় বিসিবির প্রক্রিয়ায় মধ্যে আছি। এটা ইতিবাচক দিক। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরও আমি হাই পারফরম্যান্সে ছিলাম, ‘‘এ’’ দলে ছিলাম। নির্বাচকেরা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন এসব জায়গায়, এতে আমার ভালো হয়েছে। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই এমন সুযোগের দরকার আছে। আমি এখন মাঠে নামলে আগের তুলনায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য থাকি। এটা গুরুত্বপূর্ণ।’

গত কয়েক মাস ধরে দারুণ ফর্মেও আছেন নাজমুল। বিসিএলে তৃতীয় রাউন্ডে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে গত সপ্তাহেই খেলেছেন অপরাজিত ২৫৩ রানের ইনিংস। এর আগে বিপিএলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন প্রায় সব জায়গায়। ঘরোয়া ক্রিকেটের ফর্ম আন্তর্জাতিক পর্যায়েও টেনে এনেছেন নাজমুল।