ব্যাট বদলেছে, মুশফিক বদলাননি

ক্যারিয়ারে সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরির পর মুশফিকুর রহিম। ছবি: শামসুল হক
ক্যারিয়ারে সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরির পর মুশফিকুর রহিম। ছবি: শামসুল হক
>সর্বশেষ ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ডিএসসি ব্যাট দিয়ে। শ্রীলঙ্কায় প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন আবার এসএস ব্যাট দিয়ে। আজ আবার এসএস দিয়েই করলেন সেঞ্চুরি।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে ব্যাটের ‘ব্র্যান্ড’ বদলেছেন মুশফিকুর রহিম। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ব্যবহার করতেন ‘ডিএসসি’ ব্র্যান্ডের ব্যাট। এই সিরিজে ফিরে এসেছেন তাঁর আগের ব্র্যান্ড ‘এসএস’-এ। ইনস্টাগ্রামে নতুন ব্যাটেও প্রচুর রান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান।

সিরিজের আগে রসিকতা করে মুশফিকের কাছে জানতে চাওয়া হলো, ক্যারিয়ারসেরা অপরাজিত ২১৯ রান এসেছিল ডিএসসি ব্যাট দিয়েই। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০১৮ সালের মিরপুর টেস্টে করা ২১৯ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। আবার জিম্বাবুয়ে যখন প্রতিপক্ষ, ‘সৌভাগ্যের ব্যাট’ ডিএসএসি দিয়ে না খেলে এবার খেলবেন এসএস দিয়ে? মুশফিকের উত্তরটাও কম সরস নয়, ‘কেন, এসএস দিয়েই তো গলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছি।’

১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রায় ১০ বছর ধরে এসএস ব্যাট দিয়েই খেলেছেন মুশফিক। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের গল টেস্টে এই ব্যাট দিয়েই প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। ‘মুশি’র একই ব্র্যান্ডের ব্যাটেই আবারও হাসি—জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি।

আজও বড় কিছুর দিকেই এগোচ্ছেন মুশফিক। এসএস ব্যাটে ফিরেই করলেন সেঞ্চুরি। ৩২ রানে কাল দিন শেষ করে আজ মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছেন নামের পাশে ১৫৩ বলে ৯৯ রান নিয়ে। বিরতির পর তিন অঙ্কে পৌঁছাতে বেশি সময় নেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান ১৬০ বল খেলেই। বাঁহাতি স্পিনার এইনসলে এনদলোভুর বলে কাট শটে চার মেরে পৌঁছে যান সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে। পুরো ইনিংসের ৪০ ভাগ রান এই শট থেকেই এসেছে। সেঞ্চুরির পরেই মুশফিকের স্বভাব বিরুদ্ধ উদ্‌যাপন। সেই এসএস ব্যাটটি সপাটে ঘুরিয়ে দেখালেন একবার। এরপর ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন মুশফিক। সেঞ্চুরি তো হলো, এবার তিনি এগোচ্ছেন সেটিকে ডাবলে রূপ দিতে। সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ১৮ চার মারা মুশফিক যেন খেলছেন ওয়ানডে মেজাজে!