সালমারা আত্মবিশ্বাসী আগের চেয়ে বেশি, কীভাবে?

বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক সালমা খাতুন। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক সালমা খাতুন। ফাইল ছবি
>এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে গেছে বাংলাদেশ। কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অধিনায়ক সালমা খাতুন নিজেই

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের জন্য কিছুটা অন্যরকমই। কেন যেন এবারের আসরে খেলতে নামার আগে আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি। অধিনায়ক সালমা খাতুনের ভাষায়, ‘অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’ আইসিসি ওয়েবসাইটে লেখা এক কলামে সালমা ব্যাখ্যা করেছেন, কেন এবার তাঁর দল আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।

সালমার কলামে প্রথমেই উঠে এসেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের প্রসঙ্গ। মেয়েদের দল ‘ছোট ভাই’দের কাছ থেকেই মূলত প্রেরণাটা নিচ্ছে, ‘আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল দেখিয়ে দিয়েছে যখন কোনো দলের মধ্যে প্রত্যয়, প্রতিভা আর পরিশ্রমের সুন্দর সংমিশ্রণ ঘটে, তখন সে দলটি কী করতে পারে! উনিশের যুবারা আমার জন্যও বিরাট প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাসের উৎস।’

যুবাদের জন্য গোটা দেশের মানুষের যে গর্ব, সেটি ছুঁয়ে গেছে সালমাদেরও। সেই গর্বকে উৎস করেই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে চান তাঁরা, ‘যুবারা দক্ষিণ আফ্রিকায় যা করে দেখিয়েছে, তাতে আমরা অনেক বেশি গর্বিত। এখন আমরা দেখতে চাই অস্ট্রেলিয়াতে আমরা কতটা কী করতে পারি।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চটা অনেক বড়। অস্ট্রেলিয়ায় এ আসর বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের জন্য বড় একটা সুযোগও। এ টুর্নামেন্টে ভালো করলে দেশের নারী ক্রিকেট যে কতটা এগিয়ে যাবে, সেটা খুব ভালো করেই জানেন সালমা, ‘আমরা খুবই রোমাঞ্চিত। গোটা দলই বিশ্বকাপের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। এই টুর্নামেন্ট কিন্তু অনেক বড় একটা মঞ্চও। আমরা যে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেটি সারা দুনিয়াকে দেখিয়ে দেওয়ার বড় সুযোগও এটি।’

বিশ্বকাপে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলা। এ ম্যাচের আগে ২০১৮ এশিয়া কাপের স্মৃতি খুব করেই মনে পড়ছে সালমার। যেভাবে এশিয়া কাপে সব ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যা প্রমাণ করে শিরোপা জিতেছিলেন তাঁরা, বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রেরণা হিসেবে নিচ্ছেন সেটিকেই, ‘ক্রিকেট দুনিয়ার সেরা কয়েকটি দল আমাদের গ্রুপে আছে বিশ্বকাপে। কিন্তু মূল প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাওয়ার পর কোন দল শক্তিশালী, কোনটা দুর্বল, এসব নিয়ে ভাবার কোনো অবকাশ নেই। আমরা ২০১৮ সালে কুয়ালালামপুরে এশিয়া কাপ জিতেছিলাম সব ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যে প্রমাণ করে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা একই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব।’