একবার বল করে তামিমকে আউট করতে চান মুশফিক

ব্যাট হাতে তামিমকে ছাড়িয়ে এবার বল হাতে নিয়েও পরীক্ষা নিতে চান মুশফিক। ছবি: প্রথম আলো
ব্যাট হাতে তামিমকে ছাড়িয়ে এবার বল হাতে নিয়েও পরীক্ষা নিতে চান মুশফিক। ছবি: প্রথম আলো

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের অনেক রেকর্ডই তামিম ইকবালের। আজ একটি রেকর্ড তাঁর হাতছাড়া করতে হয়েছে মুশফিকুর রহিমের কাছে। তামিমকে টপকে এই মুহূর্তে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক মুশফিকই।

মুশফিক অবশ্য রেকর্ড-টেকর্ড নিয়ে অতটা ঘাঁটাঘাঁটি করেন না, যতটা তামিম করে থাকেন। আজ যেমন বাঁহাতি ওপেনারকে টপকে টেস্টে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়েছেন, মুশফিকের এটা জানাই ছিল না, ‘জানতাম না। তামিম অবশ্যই জানে। ও সব জানে। আমি সব সময়ই বলে এসেছি তামিম আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাটসম্যান। ওর সঙ্গে সব সময় আমার অন্যরকম একটা প্রতিযোগিতা থাকে। সুস্থ প্রতিযোগিতা। আমি ওকে অনেক অনুপ্রাণিত করি, সে আমাকে। জানি আমার সাফল্যে সে অনেক খুশি, ওর সাফল্যে আমিও। এটা দলের জন্য ভালো। মনে প্রাণে চাই সে যেন সর্বোচ্চ রান করে। এবং এটাও চাই ওর থেকে যেন আমি এক রান বেশি করি।’

তামিমের সঙ্গে সুস্থ প্রতিযোগিতার কথা বললেন, এখানে মুশফিকের আরও একটি ইচ্ছে আছে। সংবাদ সম্মেলনে সে ইচ্ছেটাও গোপন করেননি বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান, ‘ইচ্ছা আছে আমার বলে ওকে একবার যেন আউট করতে পারি।’

রেকর্ড-পরিসংখ্যান, ধারাবাহিকতার বিচারে এখন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার ওপরে থাকবেন মুশফিক। টেস্টে নিজের সবশেষে চার সেঞ্চুরির তিনটিই ১৫০ পেরোনো। দুটি রূপ দিয়েছেন ডাবলে। ক্যারিয়ারের প্রথম আট বছরেও গড় ছিল ৩০-এর নিচে। ধারাবাহিক ভালো করে সেটিই ক্রমে নিয়ে যাচ্ছেন ৪০-এর দিকে। যদি তাঁকে বলা হয় বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান বলা হয়, মুশফিক কি তাতে দ্বিমত পোষণ করবেন?

ইতিহাসের ছাত্র হয়ে ইতিহাস গড়তে পটু হতে পারেন, নিজেকে সেরা বলতে তিনি কিছুতেই রাজি নন, ‘এই উত্তর দেওয়া কঠিন। কখনো নিজেকে সর্বকালের সেরা মনে করি না। আপনারা অনেক সময়ই বলেছেন যে আমার টেকনিক, ধৈর্য বা অন্য অনেক কিছু সেরা…। এটা হতে পারে। কিন্তু আমার কাছে কখনো মনে হয় না। যখন নিজের ব্যাটিংয়ের রিপ্লে বা হাইলাইটস দেখি তখন নিজের কাছে অতটা ভালো লাগে না। তখন মনে হয় তামিমের মতো ওই ড্রাইভটা যদি খেলতে পারতাম বা সাকিবের মতো ওই কাট বা অন ড্রাইভ করতে পারতাম! নিজের সীমাবদ্ধতা জানি এবং কখন কি করার চেষ্টা করতে হয় সেটাও জানি। এসব থেকে শিখি।’

মুশফিক এখানেই অনন্য। যত ভুল করেন, তত শেখেন। আর ততই হয়ে ওঠেন দুর্দান্ত!