৪৫০ দিন পর টেস্ট জিতল বাংলাদেশ

জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ছে বাংলাদেশ। ছবি: প্রথম আলো
জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ছে বাংলাদেশ। ছবি: প্রথম আলো

মধ্যাহ্নবিরতির এক ঘণ্টা আগে থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এর মধ্যেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে জয়ের পথ পরিষ্কার করছিল বাংলাদেশ। কাল ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ে আরও ৩ উইকেট হারায়। ৫ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনে পুরো ব্যাট করতে পারেনি তারা। এ সেশনে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। এতে মিরপুর টেস্ট ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতল বাংলাদেশ।

৪৫০ দিন পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ২ ডিসেম্বর এই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ছয় টেস্টে হারতে হয়েছে। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় ইনিংস ব্যবধানে জয়।

মধ্যাহ্নবিরতির মাঝেই জিম্বাবুয়ের ড্রেসিংরুমের সামনে ছোট্ট জটলা। প্রধান লালচাঁন রাজপুত ও বোলিং কোচ ডগলাস হোন্ডো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। কিছুক্ষণ পর ড্রেসিংরুমে ফেরার পথেই কোচকে জিজ্ঞেস করা, ম্যাচ কি ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিলেন? উত্তরে শব্দ ব্যবহার করলেন না লালচাঁন। শুধু মুখে হাসি টেনে আকাশের দিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করলেন জিম্বাবুয়ের ভারতীয় কোচ। যেন তিনি বলছিলেন, সব সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিয়েছি।

মেঘলা মিরপুরে সৃষ্টিকর্তা বাংলাদেশের দিকে চেয়েই হাসছিলেন। দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই যে আরেকটি উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজাকে (১৮) তুলে নেন তাইজুল। জিম্বাবুয়ের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ১২১। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান আর না থাকায় এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি জিম্বাবুয়ের জন্য। ৬৮ রান তুলতে বাকি ৪ উইকেট হারায় তারা।

জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের পেসাররা কোনো উইকেট পাননি। একটি রান আউট বাদে বাকি ৯ উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন দুই স্পিনার নাঈম হাসান (৫/৮২) ও তাইজুল (৪/৭৮)। অফ স্পিনার নাঈম অবশ্য নিজেকে ভাগ্যবিড়ম্বিত ভাবতেই পারেন। ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া যে হলো না! জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৭০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। টেস্টে এক ম্যাচে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (৯/১৫২)। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনের ব্যাট থেকে।