ট্রাম্পকে কেন পাকিস্তানে দেখতে চান ভন?

ভারত সফর করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি
ভারত সফর করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি
>শচীন টেন্ডুলকারের নাম ভুলভাবে উচ্চারণ করে আবারও আলোচনায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা নিয়ে মশকরায় মেতেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাসিন্দারা। সে মশকরায় যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনও

ভারতে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম মোতেরার সরদার প্যাটেল স্টেডিয়াম উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা লম্বা এক ভাষণ দিয়েছেন তিনি। সে ভাষণে বিদঘুটেভাবে শচীন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি, স্বামী বিবেকানন্দের নাম উচ্চারণ করে তুমুল হাস্যরসের জন্ম দিয়েছেন ট্রাম্প। তা নিয়েই মেতেছেন সবাই। এমনকি সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনও!

এমনিতেই বেফাঁস কথা বলার জন্য ‘খ্যাতি’ আছে ট্রাম্পের। ভারত সফরে এসে অমন দু-একটা বেফাঁস কথা বলে হাস্যরসের সৃষ্টি করবেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, এমনটাই আশা করেছিলেন অনেকে। ট্রাম্প তাঁদের হতাশ করেননি। মোতেরায় স্টেডিয়াম উদ্বোধন করতে গিয়ে আগত দর্শকদের আগ্রহী করার জন্য নিজের ভাষণে ক্রিকেট, বলিউড নিয়ে কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছেন। সেখানেই গুবলেট পাকিয়েছেন। শচীন টেন্ডুলকারের নাম উচ্চারণ করেছেন ‘সুচীন টেন্ডুলকার’ বলে, যেখানে হিন্দি বা ইংরেজিতে সাধারণত ‘সাচিন টেন্ডুলকার’ বলা হয়ে থাকে। ট্রাম্পের বেমক্কা উচ্চারণের তির থেকে রক্ষা পাননি বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। বিশ্বসেরা ক্রিকেটারটিকে এক ধাক্কায় ‘কুলি’ বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘এটাই সে দেশ, যেখানে বিশ্বের সেরা সব ক্রিকেটার সুচীন টেন্ডুলকার থেকে বিরাট কুলিদের নিয়ে আপনারা উল্লাস করেন।’

ব্যস, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়ে যায় রসিকতা। এ রসিকতায় যোগ দিয়েছেন কেভিন পিটারসেন, জিমি নিশাম, মাইকেল ভনের মতো বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররাও। ভন আবার এক কাঠি সরেস। সরাসরি শচীনকে উল্লেখ করে টুইট করেছেন। জিজ্ঞেস করেছেন, ‘কী হে সুচীন টেন্ডুলকার, আজকে কেমন আছ তুমি?’

এমনকি ভন চান একটা ‘বিশেষ’ কারণে ট্রাম্প যেন পাকিস্তান সফরেও যান। কিন্তু কেন? খোলাসা করেছেন ভন নিজেই, ‘ট্রাম্প পাকিস্তানে গিয়ে ফখর জামানের নাম কীভাবে উচ্চারণ করেন, সেটা জানতে আমার তর সইছে না!’

ওদিকে জিমি নিশামের কাছে গোটা বিষয়টি স্বাভাবিক লাগছে। নিশামের টুইট, ‘যে লোক নিজের দেশের সীমারেখাই জানে না, সে আবার সঠিক উচ্চারণ কী করবে!’