নিজেদের বদলে ব্রাদার্সকে হারাল বসুন্ধরা

ব্রাদার্সের বিপক্ষে জোড়া গোল পেয়েছেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম (নীল জার্সি) । ছবি: শুভ্র কান্তি দাস
ব্রাদার্সের বিপক্ষে জোড়া গোল পেয়েছেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম (নীল জার্সি) । ছবি: শুভ্র কান্তি দাস
প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস


জাতীয় দলের লেফট উইঙ্গার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বসুন্ধরা কিংসে খেলেন লেফট ব্যাক পজিশনে। স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজেন কী মনে করে যেন তাঁকে খেলালেন তাঁর নিজের জায়গায়। সুযোগ পেয়েই জোড়া গোলে প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরাকে দ্বিতীয় জয় এনে দিলেন তিনি। তাঁর ২ গোলের সঙ্গে কোস্টারিকান দানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ব্রাদার্সের পক্ষে গোল দুটি এনকোচা কিংসলে আর অরূপ বৈদ্যের।

বসুন্ধরা জিতলেও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। ৪৭ মিনিট পর্যন্ত ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ব্রাদার্স কিন্তু কাঁপুনি ধরিয়েছে বসুন্ধরার বুকে। আগের দুই ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র আর চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ড্র করেছিল গোপীবাগের ঐতিহ্যবাহী দলটি।

কিছুটা চাপে থেকেই ম্যাচটি খেলতে নেমেছিল বসুন্ধরা। আগের ম্যাচে পুলিশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। প্রথম ম্যাচে নীলফামারীতে বারিধারার সঙ্গে জয়টাও খুব দাপুটে ছিল না। শক্তিশালী বসুন্ধরার তাই দায় ছিল ব্রাদার্সের সঙ্গে ভালো ফুটবল খেলার। সে জন্য আজ একাদশে চারটি পরিবর্তন এনেছিল দলটি। ৪-৩-৩ ফরমেশন থেকে বেরিয়ে ৪-৪-২ ফরমেশনে আজ মাঠে দেখা গেল অন্য বসুন্ধরাকেই। দুই উইং দিয়ে খেলা ছড়িয়েছেন কোচ ব্রুজেন। ইব্রাহিম বাঁয়ে ছিলেন দুর্দান্ত। ডান দিকে বিপলু আহমেদও কম যাননি।

১৭ মিনিটের ইব্রাহিমের গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। লেফটব্যাক আখতাম নাজারভের এরিয়াল পাস বুকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের ওপর নামিয়ে দেন দানিয়েল কলিন্দ্রেস। সেখান থেকে ইব্রাহিম গোল করেন ডান পায়ের শটে।

৪৪ মিনিটে এক প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ২-০ গোলে। আক্রমণের শেষটা টেনেছেন ইব্রাহিম। নিজেদের রক্ষণভাগের ওপরে বল পেয়েছিলেন ইয়াসিন, সেখান থেকে কলিন্দ্রেস। মাঝমাঠ থেকে কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দেন রক্ষণ ভেদ করা এক পাস। বল পেয়ে যান ইব্রাহিম। ব্রাদার্সের দুই রক্ষণ সেনাকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে ব্রাদার্স গোলরক্ষক জাফরকে ফাঁকি দিয়ে তিনি ঠেলে দেন জালে।

বিরতিতে যাওয়ার আগেই ৩-০ করতে পারতেন তৌহিদুল আলম সবুজ। কলিন্দ্রেস ক্রসে গোলমুখের সামনে থেকে হেড করলেও সেটি ক্রসবার উঁচিয়ে চলে যায়। বিরতি থেকে ফিরে চোখ ধাঁধানো এক গোল করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন কলিন্দ্রেস। গোলটি ছিল বিশ্বকাপ খেলা খেলোয়াড়ের মানেরই।
এর পরে শুরু হয় কমলা ঝলক। ১৩ মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়ে আনে ব্রাদার্স। ৬৩ মিনিটে ৩-১ করেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার কিংসলে। ৭৬ মিনিটে ৩-২ করেন রাইট ব্যাক অরূপ বৈদ্য। মোবারকের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে দারুণ ভলিতে গোল করেন কিংসলে। কিংসলে। আর অরূপের গোলটি হেডে। ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়েও শেষ পর্যন্ত সমতায় ফেরা হয়নি তাদের।

এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট বসুন্ধরার । সমানসংখ্যক ম্যাচে ব্রাদার্সের পয়েন্ট ২।